সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৫ জুন থেকে দক্ষিণ রায়ের ডেরা সুন্দরবনে (Sundarban) যেতে পারবেন পর্যটকরা। বুধবার এমনই ছাড়পত্র দিল বনদপ্তর। সেক্ষেত্রে পর্যটক-সহ বোট চালকদের বিশেষ কিছু নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে বলেও জানানো হয়।
গা ছমছমে ভাব। সুন্দরী, গড়ান, গেওয়ার জঙ্গলে পাতার ফাঁক দিয়ে এই বুঝি দেখা দিল দক্ষিণ রায়। এই সব অভিজ্ঞতা থেকে বেশ কয়েক মাস দূরে ছিলেন ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি। কিন্তু সেই দিন আর দূরে নেই যখন লটবহর নিয়ে আবার মানুষ বেরিয়ে পড়তে পারবেন। পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে আনলক ওয়ানের প্রথম পর্বে পর্যটকদের জন্য সুন্দরবনে যাওয়ার ছাড়পত্র দিল বনদপ্তর। বুধবার বিকেলে নির্দেশিকা জারি করে এমনটাই জানানো হয়। তবে ছাড়পত্র মিললেও বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয় পর্যটকদের জন্য। যেমন-
- সকল পর্যটকদের স্যানিটাইজেশনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- যে বোটে করে পর্যটকরা ঘুরবেন সেগুলি স্যানিটাইজ করতে হবে।
- সুন্দরবনের হোটেলগুলিতে স্যানিটাইজেশনের দিয়ে নজর দিতে হবে।
- বোটে পর্যটকদের সামাজিক দূরত্বের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
[আরও পড়ুন:নারকীয়! চিৎকারে অতিষ্ট হয়ে সারমেয়র পা কেটে নিল হুগলির যুবক]
ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের বেশিরভাগ গেস্ট হাউসগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। লকডাউনে দীর্ঘ দুমাস বাড়িতে আটকে থাকার পর প্রকৃতির নিরিবিলিতে প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে সপরিবারে অনেকেই সুন্দরবনে যাবেন বলে আশা করছে বনদপ্তর। তবে আমফানের তাণ্ডবের পর সুন্দরবন ওখন কতটা সুন্দর রয়েছে সেই প্রশ্ন জেগেছে পর্যটকদের মনে। ঘূূর্ণিঝড় আমফানের ধ্বংসলীলার জেরে সুন্দরবনের বেশিরভাগ গাছের পাতাই হয়েছে তামাটে। অন্যদিকে করোনা আবহের মধ্যে কতজন পর্যটক সুন্দরবন যাবেন সেই প্রশ্ন উঠে আসছে। এমনকি অর্থনীতির বেহাল দশায় হোটেল মালিকেরা নিজেদের পুরনো ছন্দে ফিরিয়ে আনতে পারবেন কিনা সেটাও ভাবনার বিষয়।