ধীমান রায়, কাটোয়া: পুলিশ ব্যারাক থেকে আধিকারিকের ঝুলন্ত দেহ (Hanging body) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য আউশগ্রাম থানায়। বৃহস্পতিবার সকালে আউশগ্রাম (Aushgram) থানার ব্যারাকে নিজের ঘরে সাব ইন্সপেক্টর পুষ্পেন ঘোষকে গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখেন সহকর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। থানা আইসির নেতৃত্বে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এসআই পুষ্পেন ঘোষ আত্মহত্যা করেছেন বলেই প্রাথমিক অনুমান সহকর্মীদের। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই বোঝা যাবে আসল কারণ। তার আগে এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ আইসি আবদুল রউফ খান।
বৃহস্পতিবার সকালে আউশগ্রাম থানায় ডিউটি (Morning duty) ছিল এসআই পুষ্পেন ঘোষের। নির্ধারিত সময় পরও তিনি হাজির না হওয়ায় তাঁর খোঁজে পুলিশ ব্যারাকে যান সহকর্মীরা। এসআইয়ের (SI) ঘরের জানলা দিয়েই তাঁরা দেখতে পান ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে খবর দেওয়া হয় আইসিকে। সহকর্মীরা জানাচ্ছেন, এর আগের দিন নাইট ডিউটি করে ব্যারাকে ফিরেছিলেন এসআই। এরপর ফের আজ সকালে কাজে আসার কথা ছিল। কাজে না আসায় খোঁজ করতে দিয়ে দেখা গেল, সব শেষ। আক্ষেপ করছেন থানার অন্যান্য পুলিশকর্মীরা।
[আরও পড়ুন: ‘মন কি বাত, ভারত কি বাত’, প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘মনের কথা’ নিয়ে তথ্যচিত্র হিস্ট্রি টিভির]
তাঁদের আরও বক্তব্য, তিন-চারদিন ধরে অত্যন্ত চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলেন পুষ্পেন ঘোষ। খাওয়াদাওয়াও ঠিকমতো করছিলেন না। তাঁদের অনুমান, এসআই কোনও বিষয় নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। সেই কারণেই আত্মঘাতী হলেন নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে এর নেপথ্যে, সেটাই জানতে মরিয়া সহকর্মীরা। আইসি আবদুল রউফ খান জানিয়েছেন, দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর পিছনে কী কারণ, আত্মহত্যা করলেও তা পেশাগত কোনও সমস্যার জন্য নাকি ব্যক্তিগত টানাপোড়েনে, সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।