অভিরূপ বসাক, শিলিগুড়ি: প্রথমে কৃষক হিসাবে চাষ, তারপর ব্যবসা। বর্তমানে ওই ব্যবসা করেই সফল ব্যবসায়ী তিনি। মেটেলি ব্লকের বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়ার যুবক প্রদীপ ওঁরাও মাশরুমের ব্যবসা করে বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত। এখন এই ব্যবসা করে মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা রোজগার করে সে।
জানা যায়, অভাবের সংসারে প্রদীপ বেশিদূর পড়াশুনা করতে পারেননি। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে তিনি শিলিগুড়িতে বেসরকারিভাবে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষ করে বাড়িতেই ছোট আকারে শুরু করেন মাশরুম চাষ। তারপর একটু একটু করে হাতে টাকা আসতে শুরু করলে তিনি বাড়াতে থাকেন চাষের পরিধি। এরপর একসময় বাড়তে থাকে তাঁর উৎপাদিত মাশরুমের চাহিদা। বর্তমানে এলাকার কয়েকজনকেও তিনি এই কাজে নিযুক্ত করেছেন। এখন ওই ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় ১২টি মাশরুম চাষের ঘর রয়েছে তাঁর। এমনকি কৃষি বিভাগেরও বিভিন্ন মাশরুমের কর্মশালায় প্রদীপ বর্তমানে ট্রেনার হিসাবে প্রশিক্ষণ দেন।
[ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ, ধৃত যুবক]
এ বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে তাঁর উৎপাদিত মাশরুম সিকিম, কালিম্পং, ঝালং, বিন্দু, দার্জিলিং ও ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানি করা হয়। এমনকি তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন আমাকে ৮০ থেকে ৯০ কেজি করে মাশরুম জোগান দিতে হয়। আর তার জন্য বাজার থেকে দামও ভাল পাওয়া যায়। এখন আবার নতুনভাবে আমি কালো মাশরুমেরও চাষ শুরু করেছি। এবিষয়ে কৃষি বিভাগ থেকেও আমাকে সাহায্য করা হচ্ছে। বর্তমানে আমি কৃষি বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দ্বারা উৎপাদিত মাশরুম কিনে তা পাহাড়ে সরবরাহ করি। কারণ রোজ যতটা পরিমাণ মাশরুমের চাহিদা রয়েছে বাজারে ততটা আমার নিজের এলাকায় উৎপাদিত হয় না। তাই আমি চেষ্টা করি আমার যেমন এই ব্যবসা করে সংসার চলে, তেমনই কয়েকজন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের উৎপাদিত মাশরুম রপ্তানি করলে তাঁদেরও যদি কিছুটা আর্থিক সহায়তা করা যায়।’
ওই এলাকার সহ-কৃষি অধিকর্তা সৌমজিৎ মজুমদার এবিষয়ে বলেছেন, ‘মাশরুম চাষে প্রদীপ বিজ্ঞ কৃষক। ও নিজের চেষ্টায় কাজ শিখেছে। আর এখন ও আমাদের এলাকার মহিলাদের মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ দিতে ও তাঁদের উৎপাদিত মাশরুম রপ্তানিতে যেভাবে এগিয়ে এসেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।’
[পার্বতীর মতো স্ত্রী চাই, দেওঘরে বৈদ্যনাথের মাথায় জল ঢেলে আরাধনায় পুরুষরা]