ব্রতীন দাস, শিলিগুড়ি: ভারী তুষারপাতের জেরে সিকিমের ছাঙ্গু, বাবামন্দির যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল। রাস্তায় এতটাই পুরু বরফের স্তর রয়েছে যে, গাড়ি চলাচল সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে সিকিম প্রশাসনের তরফে। ফলে বৃহস্পতিবার সকালে গ্যাংটক থেকে ওই পথে পর্যটকদের যাওয়ার গাড়ির পারমিট ইস্যু করা হয়নি বলে খবর। সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, বরফ কেটে রাস্তা স্বাভাবিক করার কাজ চলছে। তবে আট মাইলের পর থেকে ছাঙ্গুর পথ এই মুহূর্তে পুরোপুরি তুষারে ঢাকা। ফলে কোনওভাবে ওই রাস্তা দিয়ে এখন নাথুলার দিকে যাওয়া সম্ভব নয়।
[ট্রলিব্যাগে যুবতীর দেহ উদ্ধার, ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ]
বুধবার দুপুর থেকে সিকিমের উঁচু পাহাড়ি এলাকায় ভারী তুষারপাত হয়। একইসঙ্গে মারাত্মক শিলাবৃষ্টি হয় দার্জিলিং পাহাড়ে। বরফের মতো ধবধবে সাদা শিলায় ঢেকে যায় ম্যাল। শিলার পুরু আস্তরণে মুড়ে যায় শৈলশহরের রাস্তা। শিলাবৃষ্টির হাত ধরে দার্জিলিংয়ে তাপমাত্রার পারদ নামে। রাতে টাইগার হিলে দুই ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল। ফলে সেখানেও বরফ পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে এদিন সকালে রোদ উঠেছে দার্জিলিংয়ে। পাহাড়ে এই মুহূর্তে বেশ ভালই পর্যটক রয়েছেন। দার্জিলিংয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরা বুধবার দুপুর থেকে তারিয়ে তারিয়ে শিলাবৃষ্টি উপভোগ করেন। বৃষ্টি থামতেই তাঁরা শিলা কুড়োতে ম্যালে চলে আসেন। অনেকটা বরফের মজা নেন।
[তিনশো বছরের প্রথা মেনে শিব-পার্বতীর বিয়ে মহম্মদবাজারে]
অন্যদিকে, নাগাড়ে তুষারপাতের খবর পেয়ে তা উপভোগের জন্য এদিন সকালে গ্যাংটক থেকে পর্যটকদের অনেকেই ছাঙ্গুর পথে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু রাস্তা বন্ধ থাকায় তাঁদের সেই সাধ পূরণ হয়নি। অ্যাসোসিয়েশন অফ কনজারভেশন অ্যান্ড টু্রিজমের আহ্বায়ক রাজ বসু বলেছেন, এ সময় সিকিমে অনেক বাঙালি পর্যটক রয়েছেন। রাস্তা বন্ধের কারণে তাঁরা ছাঙ্গু, বাবামন্দিরে যেতে না পারলেও আট মাইল পর্যন্ত গিয়েছেন। এবং বরফ দেখতে পেয়েছেন। বরফ নিয়ে খেলাও করছেন। ফলে তাঁদের আক্ষেপ নেই।