রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ভোজনরসিক বাঙালি ইলিশ পেলে আর কিছুই চায় না। ভাজা মাছেও তার আপত্তি নেই। আর বরাতজোরে সরষে কিংবা ভাপা ইলিশ পাতে পেলে তো কথাই নেই। কিন্তু আক্ষেপ একটাই সেভাবে চলতি বছর ইলিশ পেলেন না খাদ্যরসিকরা। তবে মনের দুঃখে কাতর ইলিশপ্রেমীদের জন্য সুখবর। বুধবার পরিমাণে কম হলেও ইলিশ উঠল দিঘায়। চড়া দাম হলেও রূপোলি শস্য কিনতে ব্যাগ হাতে বাজারে ভিড় গৃহস্থের।
গত কয়েকদিন দিঘায় একেবারেই দেখা পাওয়া যায়নি রূপোলি শস্যের। তবে বুধবার সকালে সাতটি নৌকা ইলিশ নিয়ে আসে। ৫০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশই মূলত উঠেছে। ৫০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম প্রতি কেজি ৪০০-৭০০ টাকা। ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে বিকোচ্ছে ৮০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ।
[আরও পড়ুন: ফের রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের তুলনায় বেশি করোনাজয়ী, ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতার গ্রাফও]
দিঘায় রূপোলি শস্য আসার নাম শোনামাত্রই ব্যাগ হাতে বাজারে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু গৃহস্থ। তবে দাম চড়া হওয়ায় কিছুটা হলেও হতাশ তাঁরা। বড় মাপের ইলিশ কিনতে পারেননি অনেকেই। তবে ছোট মাপের ইলিশই ব্যাগে ভরেছেন কেউ কেউ। আবার অনেকের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে হাতে টাকার আকাল। এই পরিস্থিতিতে ছোটবড় কোনও মাপের ইলিশই তাঁদের পক্ষে কেনা কার্যত অসম্ভব। তাই হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাঁদের।
নানা টালবাহানার পর গত পয়লা জুলাই বড় মাপের ট্রলার পাড়ি দেয় গভীর সমুদ্রে। গত ৬ জুলাই মরশুমের প্রথম ইলিশ আসে দিঘায়। সমুদ্রে রূপোলি শস্য মেলার উপযুক্ত আবহাওয়া তৈরি হয়েছে বলেই আশার কথা শোনান মৎস্যজীবীরা। অনেক প্রতীক্ষার পর অবশেষে পরিমাণে অল্প হলেও দেখা মিলল ইলিশের। মৎস্যজীবী সংগঠনের কর্মকর্তা শ্যামসুন্দর দাসের আশা ধীরে ধীরে বাড়বে মাছের জোগান। আর জোগান বাড়লে তা বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি করা সম্ভব হবে।