Advertisement
Advertisement

Breaking News

২৫ মুসলিম পরিবারের আপত্তিতে দুর্গাপুজো বন্ধ এই গ্রামে

৩০০ পরিবারের আশা, এবার অন্তত হতাশা পেরিয়ে আবার বছর তিনেক পরে এ গ্রামে বেজে উঠবে আগমনী সুর৷

Hindu families unable to perform Durga puja in Birbhum Village after opposition by Muslim families
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 25, 2016 5:02 pm
  • Updated:September 25, 2016 6:43 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারা রাজ্যে যখন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে উৎসবের আমেজ, তখন বীরভূমের কাঙলাপাহাড়ি গ্রামের ৩০০ হিন্দু পরিবার নেহাতই মনমরা৷ এমনকী এই শরতে আগমনী আলোয় যখন দিকে দিকে মায়ের আরাধনার প্রস্তুতি তুঙ্গে, তখন নিতান্তই হাত কামড়াচ্ছেন তাঁরা৷ কেননা গত তিন বছর যাবৎ মুসলিম পরিবারের আপত্তিতে পুজো বন্ধ বীরভূমের এই গ্রামে৷

বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তের কাছে এই কাঙলাপাহাড়ি গ্রাম৷ অঙ্কের হিসেবে রামপুরহাট সাবডিভিশনের এই গ্রামে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুরাই৷ কিন্তু বাস্তব বলছে অন্য কথা৷ গত তিন বছর ধরে দুর্গাপুজোই করে উঠতে পারছেন না তাঁরা৷ কারণ মুসলিম পরিবারের আপত্তি৷ ২৫টি মুসলিম পরিবার স্থানীয় দুর্গা পুজোয় ক্রমাগত বাধা দিয়ে আসছে৷ আর তাঁদের আপত্তির জেরে এ গ্রামে মায়ের আসা আপাতত বন্ধ৷

Advertisement

কিন্তু কেন নিজেদের ধর্মাচরণে বাধা পাচ্ছে প্রায় ৩০০ পরিবার? স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের দোরে দোরে ঘুরে আগেও কোনও সুরাহা হয়নি৷ এখনও হচ্ছে না৷ থানা-পুলিশ থেকে শুরু করে বিডিও, এসডিওর কাছেও তাঁরা তাঁদের আর্জি জানিয়ে এসেছেন৷ কিন্তু ফলাফল সেই শূন্যই৷ ১ সেপ্টেম্বর তাঁদের আবেদন নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে কড়া নাড়লেও, এখনও কোনও দফতরেরই দরজা খোলেনি৷

Advertisement

তাঁদের পুজো করার অনুমতি দেওয়ার প্রসঙ্গে প্রায় মুখে কুলুপ প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের৷ স্থানীয়রা বলছেন, পঞ্চায়েত-পুলিশ কেউই মুসলিমদের অভিযোগের জেরে তাঁদের অনুমতি দেয় না৷ অন্যদিকে, বীরভূমের পুলিশ সুপার এন সুধীর কুমার জানাচ্ছেন, এরকম কোনও ঘটনার কথা তিনি জানেনই না৷ তাঁর কাছে এরকম কোনও আবেদনও জমা পড়েনি৷ অভিযোগ পাওয়ামাত্রই তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন৷ অন্যদিকে, গ্রামের দুর্গামন্দির কমিটির পক্ষ থেকে জনৈক চন্দন সাউ জানাচ্ছেন, গত শুক্রবার অর্থাৎ ২৩ তারিখই তাঁরা পুলিশ সুপার ও ডিএমের কাছে দ্বিতীয়বার আবেদন জমা দিয়ে এসেছেন৷ কিন্তু এখনও কোনও সবুজ সংকেত মেলেনি৷

গত তিন বছরের মতো এবারও আশায় বুক বেঁধে প্রতিমা তৈরি শুরু করেছেন হিন্দু অধিবাসীরা৷ কিন্তু মৃণ্ময়ী মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠা তো দূরে থাক, আদৌ তা সম্পূর্ণ হবে কি না, তাও জানেন না তাঁরা৷ বীরভূমের ডিএম অবশ্য বলছেন, এই অনুমতি দিতে পারেন একমাত্র এসডিও৷ আইনশৃঙ্খলা বজায় আছে কি না খতিয়ে দেখে এ ব্যাপারে তিনিই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন৷ ইতিমধ্যে এই আবেদন নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে গ্রামের তিনশো হিন্দু পরিবার৷ সোমবার তার শুনানি৷ গ্রামবাসীদের আশা, সেখানে অন্তত কোনও সুরাহা হবে৷ স্থানীয় নেতারাও ব্যাপারটা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মেটানোর চেষ্টা করছেন৷ ৩০০ পরিবারের আশা, এবার অন্তত হতাশা পেরিয়ে আবার বছর তিনেক পরে এ গ্রামে বেজে উঠবে আগমনী সুর৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ