১২ চৈত্র  ১৪২৯  সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

গায়ের রং কালো, বিয়ের ১৪ দিনের মাথায় খুন নববধূ

Published by: Kumaresh Halder |    Posted: October 28, 2018 5:53 pm|    Updated: October 28, 2018 5:53 pm

Husband kills wife as she looks 'Ugly'

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: মেয়ের রঙ ‘কালো’৷ দেখতে ‘খারাপ’৷ আর ‘অপরাধে’ই বিয়ের ১৪ দিনের মাথায় খুন হতে হল নববধূকে৷ ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ি থানার ছোট আলুন্দা গ্রামে৷ ঘরের মধ্য থেকে উদ্ধার হয় বছর একুশের আঞ্জু বিবি ওরফে পিংকির৷ খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই মৃত বধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ ঘটনার পর থেকে পলাতক শ্বশুর-শাশুড়ি৷

[সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ধৃত কুখ্যাত চোর ‘রাক্ষস’]

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,আজ সোমবার অভিযুক্ত স্বামীকে সিউড়ি আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ৷ বাকিদের ধরতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ৷ সিউড়ি সাঁইথিয়া রাস্তার একদিকে ছোট আলুন্দা। তারপরের রয়েছে জুনিদপুর গ্রাম। সিউড়ি থানার জনিদপুর গ্রামের বাসিন্দা আঞ্জু খাতুন ওরফে পিংকির সঙ্গে ১৪ দিন আগে বিয়ে হয়েছিল ছোটআলুন্দা গ্রামের বাসিন্দা গোলাম রসুলের৷ মেয়ের বাড়ির দাবি, বিয়ের আগে দুটি পরিবারের যাতায়াত ছিল। ছেলেও মেয়েকে দেখতে গিয়েছে। গল্প করেছে। তারপরে অনুষ্ঠান করে বিয়ে হয়েছে। কিন্তু, অষ্টমঙ্গলার পর থেকে মেয়ে দেখতে ভাল নয় বলে দাবি তোলে জামাই৷ বাড়িতে জানিয়ে দেয়, মেয়েকে আর তার পছন্দ হচ্ছে না৷

[সাত বোনকে কালীরূপে পুজো করেন এই গ্রামের বাসিন্দারা]

কারণ, তাদের সন্তানও মায়ের মত কালো হতে পারে৷ সন্তানদের বিয়ে দিতেও সমস্যা হবে৷ মূলত, এখান থেকেই অশান্তির সূত্রপাত৷ বিয়ের আট দিন কাটতে না কাটতেই জামাই মেয়ের গায়ে হাত তুলতে শুরু করে। মেয়েকে মারধর করা হত বলে মেয়ের পরিবারের অভিযোগ৷ শনিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ চরমে ওঠে৷ দুটি পরিবারের তরফে অভিযোগ তুলে থানায় জানানো হয়েছে, ‘‘আমরা ভেবেছিলাম স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থাকলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু রবিবার সকাল হতেই উলটো চিত্র৷’’ পরে, সকালে কম্বল ঢাকা দেওয়া অবস্থায় আঞ্জু বিবি মৃত দেহ উদ্ধার হয়৷ গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে জামাই৷ খুন করার পর কম্বল ঢাকা দিয়ে দেওয়া হয়৷ খুনের ঘটনা জানাজানি হতে ছোট আলুন্দা গ্রামে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

[বাইক রেসিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনা, ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে মৃত্যু যুবকের]

মেয়ের দাদা শেখ কুতুব মোমিন বলেন, ‘‘অষ্টমঙ্গলার পর থেকেই জামাই আমার বোনের উপর অত্যাচার শুরু করে৷ তবে, কোনওদিন ভাবিনি, এভাবে বোনকে মেরে ফেলবে৷ বোনের মৃত্যুর খবরটা আমরা প্রতিবেশীদের কাছ থেকে প্রথম আসে৷’’ এদিন সকালে মৃতদেহ তুলতে গেলে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে৷ গ্রামবাসীদের দাবি, দোষীদের যেন চরম শাস্তি হয়৷ গোলাম রসূলকে গ্রেপ্তার করেছে সিউড়ি থানার পুলিশ৷ অন্যদিকে অভিযুক্ত শ্বশুর শেখ আসগর ও শাশুড়ি লবেড়া বিবি ঘটনার পর থেকেই পলাতক।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে