সৌরভ মাজি, বর্ধমান: শত্রুকে মেরে জয়ী হতে হবে। নাহলে নিজের মৃত্যু ডেকে আনতে হবে। তাই জয়ের লক্ষ্যে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শত্রুপক্ষকে নিধন করে এগিয়ে চলেছে। সবাইকে খতম করলেই জয়। আর জিততে পারলেই হাতেনাতে নগদ ১৫ হাজার। কিন্তু আচমকাই যুদ্ধের তাল কেটে গেল। পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে বেআইনিভাবে আয়োজিত পাবজি (PUBG) প্রতিযোগিতার আয়োজন ভেস্তে গেল পুলিশের অভিযানে। আটক হলেন ২ উদ্যোক্তা।
রবিবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারির চকদিঘি মোড়ের একটি লজে অনলাইন পাবজি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। ১০০ টি দল তাতে অংশ নিয়েছিল। চারজন করে একেকটি দলের থেকে এন্ট্রি ফি বাবদ মোট ২৪০ টাকা নেওয়া হয়েছিল। এদের বেশিরভাগই কিশোর বয়সের স্কুল,কলেজের পড়ুয়া। ডর্মিটরিতে চেয়ার-টেবিল পেতে বসানো হয়েছিল প্রতিযোগীদের। চিয়ারলিডার ধাঁচে বেশ কয়েকজন তন্বীও রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খেলা জমতে জমতেও জমল না।
[আরও পড়ুন: CAA’র প্রতিবাদ, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের সভাধিপতি]
পাবজি গেমের নেশায় এখন বুঁদ কিশোর থেকে যুব সমাজ। অনেক অঘটনও ঘটেছে। বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এই মোবাইল গেম নিয়ে মেমারির মত ছোট শহরে যে প্রতিযোগিতার আসর বসতে পারে তা কল্পনারও অতীত ছিল শহরবাসীর। দূরদূরান্ত থেকে প্রতিযোগীরা এসেছিলেন এখানে পুরস্কারের টোপে। রবিবার সকাল সকাল সেই আসর জমেও উঠেছিল। কিন্তু বাসিন্দাদের একাংশের আপত্তিতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। স্থানীয় বসিন্দাদের অভিযোগ, এই ধরনের খেলায় যুব সমাজ শেষ হয়ে যাচ্ছে। পড়াশোনা লাটে উঠছে স্কুল,কলেজের পড়ুয়াদের। আর সেই গেমকে সামনে রেখেই মেমারির ওই লজে জুয়ার আসর বসানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
[আরও পড়ুন: ধাক্কা ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র! ইন্টারনেট বন্ধে বিশ্বে শীর্ষে ভারত]
এরপর মেমারি থানার পুলিশ গিয়ে প্রতিযোগিতা বন্ধ করে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই ধরনের কুপ্রভাব পড়ছে যুবসমাজের উপর। সেই কারণে দেশের কিছু অংশে নিষিদ্ধও করা হয়েছে এই অনলাইন গেম। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয়দের কাছে অভিযোগ পেয়ে লজে ওই খেলা বন্ধ করা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
দেখুন ভিডিও: