সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: দীর্ঘদিন পর ফের বদলে গেল দার্জিলিং মেলের খোলনলচে। পুরনো হালকা গাঢ় নীলের পরিবর্তে নতুন রং করা হয়েছে। ঘিয়ে ও ইট রঙে রীতিমতো নতুন চেহারায় শিয়ালদহ-নিউ জলপাইগুড়ি রুটের সবচয়ে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনটি। পাশাপাশি বদলে দেওয়া হয়েছে ভিতরের খোলনলচেও। ফলে খুশি যাত্রী থেকে শহরের বাসিন্দারা। তবে কেউ কেউ মনে করছেন উপরের চেহারা বদলে গেলেও সম্পূর্ণ পরিস্থিতির বদল হয়নি। সেটি এখনও আরও উন্নত করার প্রয়োজন রয়েছে। তবে নতুন চেহারার দার্জিলিং মেলকে ঘিরে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত সাধারণ যাত্রীরা।
[‘বড়মাকে খুন করেছেন জ্যোতিপ্রিয়’, বিস্ফোরক অভিযোগ শান্তনু ঠাকুরের]
কাটিহারের এডিআরএম পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “দার্জিলিং মেলের রং পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এটি যেহেতু ইস্টার্ন রেলের তরফ থেকে চালানো হয়, পুরো বিষয়টি দেখভাল করছেন তাঁরাই।” পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ও শহরের পরিচিত সমাজকর্মী দীপজ্যোতি চক্রবর্তী বিষয়টিকে সদর্থকভাবেই দেখছেন। তিনি জানান, যে কোনও পরিবর্তনই যদি ভালো হয়, তবে সবার পক্ষে মঙ্গল। রং বদলের ফলে একঘেয়েমি কাটতে পারে। তবে ভিতরের সর্বাঙ্গীন পরিষেবা যেন ঠিক থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ব্যবসায়ী কিরণচন্দ্র নাগের মতে, “নতুন রঙে ভালই লাগছে ট্রেনটিকে। আশা করব রঙের সঙ্গে যাত্রাও শুভ হবে।”
[কমলালেবু থেকে সাপের বিষের প্রতিষেধক, গবেষণায় মিলল সাফল্য]
তবে বিষয়টি নিয়ে ভক্তিনগর যাত্রী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দীপক মহান্তি অভিযোগ করেন, “বাইরের এবং ভিতরের কিছু অন্দরসজ্জায় পরিবর্তন ঘটানো হলেও আদপে মান বাড়েনি। বেশ কিছু বার্থ পুরনো, ভাঙা। ফলে নতুন রং করে কোনও লাভ হচ্ছে না। মান বাড়াতে ডিআরএমের কাছে চিঠি দেবেন বলেও জানান তিনি। বাইরের সমস্ত কামরাই ঘিয়ে রং করা হয়েছে। তার মধ্যে ইট রঙা বর্ডারে আরও উজ্জ্বল বদলে যাওয়া দার্জিলিং মেল। কামরার ভিতরে গ্রাফিক্সের মাধ্যমে কোথাও মনোরম দৃশ্য, কোথাও শুধুই ফুলের ছবি। মন ভাল করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এর আগে দার্জিলিং মেলের অবশ্য বেশ কয়েকবার রং বদলানো হয়েছে।