Advertisement
Advertisement

Breaking News

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

ফের আমফান ‘দুর্নীতি’র কাঁটা শাসকদলে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ধুন্ধুমার বসিরহাট

প্রবল সংঘর্ষের জেরে এলাকা ছেড়ে পালান স্থানীয়রা।

Inner clash of TMC at Basirhat on 'corruption' of Amphan fund
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 5, 2020 7:32 pm
  • Updated:September 5, 2020 7:44 pm

জ্যোতি চক্রবর্তী, বসিরহাট: আমফানের (Amphan) ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জড়াল তৃণমূল। শনিবার বিকেলে বসিরহাটের তা নিয়ে প্রবল সংঘর্ষের সাক্ষী রইল হাড়োয়া ব্রিজ এলাকা। ইট, পাটকেল, লোহার রড নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, মারধরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি। জখম হয়েছেন অন্তত সাতজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনওক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গিয়েছে, আমফানের টাকা এখনও না পাওয়ার অভিযোগে এদিন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ রাস্তা অবরোধ করতে আসছিলেন তৃণমূলের একদল কর্মী, সমর্থক। এই খবর পেয়ে অপর গোষ্ঠী হাড়োয়া ব্রিজের কাছে আসে। প্রথমে দু’পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি, বচসা হয়। এরপর মারধর, দফায় দফায় ভাঙচুর চলে। প্রায় ১৫টি মোটরবাইক, দুটি দোকানঘর ভাঙচুর করা হয়। প্রত্যেকের হাতে লাঠি, লোহার রড, ইট-পাটকেল ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পাশাপাশি এই ঘটনায় দু’পক্ষের ৭ জন জখম হয়েছেন। ঘটনাস্থলে হাড়োয়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী, র‍্যাফ, কমব্যাট ফোর্স নামানো হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মোবাইল হারানোর খবর চাপা দিতে মাওবাদী আতঙ্ক ছড়ায় যুবক! ঝাড়গ্রামের ঘটনায় প্রকাশ্যে নয়া তথ্য]

সন্ধের দিকে এই ঘটনার জেরে হঠাৎই তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এমন গন্ডগোল প্রকাশ্যে হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পথচলতি মানুষ ও ব্যবসায়ী মহল। দোকানপাট বন্ধ করে যে যার মত পালিয়ে যেতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। এই ঘটনার জেরে রীতিমতো হাড়োয়া ব্রিজ এলাকায় অঘোষিত বনধের চেহারা নিয়েছে। এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা, ঘটনাস্থলে পুলিশি টহল চলছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: স্বমেজাজেই অনুব্রত, নাম না করে বিজেপিকে কুকুরের সঙ্গে তুলনা বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির]

আমফান দুর্নীতি নিয়ে আগেও বহুবার এই এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা টাকা পায়নি, এই অভিযোগে শাসকদলের দপ্তর, জেলা প্রশাসনের দপ্তরেও বিক্ষোভ চলেছে। রাজ্য প্রশাসন বিষয়টিতে স্বচ্ছতা আনতে সেইমতো ব্যবস্থা নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নতুন করে তৈরি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমফান দুর্নীতির কাঁটা যে কিছুতেই সরছে না, এদিনের ঘটনায় ফের তা স্পষ্ট।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ