Advertisement
Advertisement

Breaking News

জলদাপাড়ায় পরিবেশের পাঠ

পর্যটনের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষার পাঠ, জলদাপাড়া ভ্রমণে বদলের ভাবনা বনদপ্তরের

জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে আরও দামি হচ্ছে সাফারি, গাইড।

Jaldapara National Forest to introduce educational tour
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 12, 2019 5:50 pm
  • Updated:September 12, 2019 5:50 pm

রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে ভ্রমণের ধরন আমূল বদল আনল কর্তৃপক্ষ। ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী এই পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে বনদপ্তর সূত্রে খবর। এখন আর শুধু বন্যপ্রাণী দেখার জন্য নয়, এখন থেকে জাতীয় উদ্যানে ভ্রমণের অন্যতম উদ্দেশ্য হল পরিবেশ শিক্ষার পাঠ দেওয়ার জন্য। এছাড়াও জলদাপাড়ায় সাফারি ও গাইডদের ফি বাড়ানো হচ্ছে। সম্প্রতি বিভিন্ন হোটেল, রিসর্ট মালিক, পর্যটন সংস্থা ও বনদপ্তরের গাইডদের নিয়ে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ফের ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি, অন্ডালে পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার যুবক]

জানা গিয়েছে, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের কোদাল বস্তি ও চিলাপাতার জঙ্গলে গাড়ি সাফারির ফি ১১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২০০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া ফরেস্ট গাইডদের চার্জ ২৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণ সহায়ক মণীশ কুমার যাদব বলেন, “মানুষ শুধু বন ও বন্যপ্রাণ দেখার জন্য জঙ্গল ভ্রমণ করে থাকেন। কিন্তু এই ভাবনায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। জাতীয় উদ্যান ভ্রমণকে পরিবেশ শিক্ষার পাঠদানের অঙ্গ করে তোলার ভাবনাচিন্তা চলছে। নতুন ভাবনা অনুযায়ী, সব পর্যটককে পরিবেশ সম্পর্কে প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হবে। আর তার জন্য ফরেস্ট গাইডদেরও প্রশিক্ষিত করা হবে। আমরা চাইছি ভাবনার পরিবর্তন করতে, যাতে পর্যটন পরিবেশ সংরক্ষণের সহায়ক হয়।”

Advertisement

এবার থেকে লোকনৃত্য ও গানকে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের পর্যটন প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভুটান পাহাড়ের কোলে অবস্থিত টোটোপাড়াকেও পর্যটনের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়াও পর্যটকদের জন্য আরও বেশি শৌচালয়-সহ নানা পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। ভারতের অন্য পর্যটন কেন্দ্রের মতো জলদাপাড়াতেও পর্যটকরা যেন নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের কোনও প্যাকেট বা দ্রব্য নিয়ে ঢুকতে না পারেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গাইডরা এবার থেকে পর্যটকদের জঙ্গলে ঢোকার আগে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সম্পর্কে পরিচয় করাবেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভেড়ির আড়ালে অস্ত্র কারখানার হদিশ মিনাখাঁয়, গ্রেপ্তার ২]

এছাড়াও জাতীয় উদ্যানে কী করণীয় এবং কী করণীয় নয় সে বিষয়েও পর্যটকদের সচেতন করা হবে। মাদারিহাটে লজের মালিক সঞ্জয় দাস বলেন, “অসাধারণ উদ্যোগ নিয়েছে বনদপ্তর। এর ফলে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান ঘিরে পর্যটনের আরও বিকাশ লাভ করবে। এই এলাকার অর্থনৈতিক অবস্থা আরও চাঙ্গা হবে।” পাশাপাশি বন্যপ্রাণ সম্পর্কে আরও সচেতন হবেন পর্যটকরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ