Advertisement
Advertisement

Breaking News

Jalpaiguri's BJP leader Dharti Mohan Roy joins TMC

পদ্মশিবিরে ফের ভাঙন, তৃণমূলে ফিরলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি নেতা

'ঘরে ফিরলাম', প্রতিক্রিয়া দলত্যাগী বিজেপি নেতার।

Jalpaiguri's BJP leader Dharti Mohan Roy joins TMC । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 27, 2021 12:34 pm
  • Updated:December 27, 2021 1:11 pm

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: কলকাতা পুরভোটে (Kolkata Municipal Election) পর্যুদস্ত বিজেপি। এবার রাজ্যের বকেয়া পুরসভাগুলির ভোটের দিকেই নজর। আর তার আগে বিজেপিতে ভাঙন যেন লেগেই রয়েছে। ফের ফুল বদল করলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি নেতা ধরতিমোহন রায়। ফের তৃণমূলে ফিরলেন তিনি। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, পদ্মশিবিরে গুরুত্ব না পাওয়ায় দলত্যাগ।

গত ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি আসনের তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন ধরতিমোহন রায়। তবে পরাজিত হন তিনি। অভিযোগ করেন, দলের একাংশের অঙ্গুলিহেলনেই পরাজয়। অসন্তোষের জেরে লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছাড়েন। যোগ দেন বিজেপিতে (BJP)। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে টিকিট পাবেন বলেই ভেবেছিলেন। তবে তা পাননি। দলেও তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনও পদও পাননি। কার্যত কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিলেন। শোনা যাচ্ছিল তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই ধরতিমোহনের দলত্যাগের জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছিল। রবিবার জল্পনার অবসান। ফের তৃণমূলে ফিরলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি নেতা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নিজের মেয়েকেই ধর্ষণ বাবার! থানায় নালিশ করলেন মা]

আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে ধরতিমোহন রায় বলেন, “নিজেকে অনেক বেশি স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। তৃণমূল ছিল আমার ঘর। আবার নিজের ঘরে ফিরলাম। দল যেভাবে বলবে, সেভাবে কাজ করব।” তাঁর দলবদল নিয়ে চলছে শাসক-বিরোধী তরজা। এ প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামী জানান, ধরতিমোহন রায়ের দলত্যাগ গেরুয়া শিবিরে কোনও প্রভাব ফেলবে না।

Advertisement

শনিবারই বিজেপির বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতির নামের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। আর সেই তালিকা প্রকাশের পর বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ (WhatsApp Group) থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার পাঁচ বিধায়ক (MLA)। বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী ও কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়। যদিও ‘ভুল বুঝতে পেরে’ রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে পরে ক্ষমা চেয়ে নেন অম্বিকা। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ফেরানোর আরজিও জানান।  এই রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার বাঁকুড়ার ৫ বিধায়কও একই পথে হেঁটে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসেন। সংঘাতের আবহে সোমবার বিএল সন্তোষ একটি বৈঠকে বসছেন। বিদ্রোহীদের কী বার্তা দেন তিনি, সেদিকে তাকিয়ে সকলে। 

[আরও পড়ুন: বাঁশের মতো মেরুদণ্ড! বিরল সমস্যা থেকে হুগলির যুবককে বাঁচাল সরকারি আয়ুর্বেদ হাসপাতাল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ