সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনেকটা সিনেমার মতোই। কিন্তু সিনেমা নয়। ঘোর বাস্তব। বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল এক দম্পতি। বিচারক সব শুনেটুনে যুগলকে পাঠালেন হোটেলে। তাও একেবারে নিজের খরচাতেই।
[ বাঙালির স্বাদের আহ্লাদ মেটাচ্ছে আদিসপ্তগ্রামের পাঁচ শতকের পুরনো মাছের মেলা ]
অভিনব এই ঘটনার সাক্ষী বীরভূমের জেলা আদালত। আর যিনি এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন তিনি বিচারক পার্থসারথী সেন। দাম্পত্যে অশান্তি নৈমিত্তিক ঘটনা। কিন্তু তাই মাত্রাছাড়া পর্যায়ে পৌঁছাতে বিচ্ছেদ চেয়েছিলেন সিউড়ির বাসিন্দা গৌতম দাস। গতবছর মার্চেই অহনার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। কিন্তু দিনকয়েক পর থেকেই ফোঁপরা হতে থাকে সম্পর্ক। শেষমেশ জল গড়ায় আদালতে। শুনানি চালাকালীন বিচারক দু’পক্ষের যুক্তিই ভালভাবে শোনে। দু’জনেরই অভিযোগের ধরন প্রায় একই। মারধর, অশান্তি তৈরি ইত্যাদির চেনা ছকেই এগিয়েছে দাম্পত্য অশান্তি। সাধারণত এই ধরনের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীকে কিছুদিন একসঙ্গে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাতে ঝামেলা মিটে গেল তো চুকে গেল। নইলে আইন নিজের পথ ধরে। বিচারক সেনও তাই করেছিলেন। সিউড়ির এক হোটেলে দিন তিনেক থাকার নির্দেশ দেন দম্পতিকে। কিন্তু অর্থসংকটের কথা জানিয়ে তাতে গররাজি হন গৌতম। তখনই বিচারক থেকে একেবারে অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন পার্থসারথীবাবু। জানান, তিনি টাকা দেবেন। টাকা নিয়ে ভাবার কোনও দরকার নেই।
[ চাকদহে পণের দাবিতে ‘খুন’ স্ত্রী, গ্রেপ্তার পুলিশকর্মী ]
এর পরে আর বলার কিছু নেই। বিচারকের নির্দেশ, তাও এমন মানবিক আদেশ। অমান্য করে কার সাধ্য? এতএব আদালত থেকে বেরিয়ে গুটি গুটি পায়ে হোটেলের দিকে এগিয় যান বিবাদমান দম্পতি। যাওয়ার আগে গৌতম জানিয়েও যান, একসঙ্গে থাকাই তো তাঁর ইচ্ছা। কিন্তু নানা কারণে হয়ে উঠছে না। নইলে কে আর বিচ্ছেদ চায়? এদিকে স্বামী ও তাঁর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে রীতিমতো গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনেছিলেন অহনা। আদালতে এ নিয়ে উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয়। তারপরও স্বামীর সঙ্গে হোটেলমুখোই হন তিনি। খুব একটা ওজর আপত্তি করেননি। ইতিমধ্যে একটা রাত গড়িয়েছে। সূত্রের খবর, বিচারকের দাওয়াইয়ে নাকি কাজও হয়েছে। ঝামেলা অনেকটাই মিটেছে। অন্ধকার কেটে দাম্পত্যে এখন সূর্যোদয়ই বলা যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.