সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাহাড়ে এই প্রথমবার CAA বিরোধিতায় মিছিলে হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ রাজ্যে একজন নাগরিককেও দেশ থেকে তাড়াতে দেবেন না বলে রীতিমতো কেন্দ্র সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছেন তিনি। এই আবহেই মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পালটা তাঁকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
বুধবার পাহাড়ের পথে যখন বিভিন্ন জনজাতির বাসিন্দাদের নিয়ে CAA বিরোধিতায় সুর চড়িয়ে হাঁটছেন। তখন কোচবিহারে CAA’র সমর্থনে অভিনন্দন যাত্রায় শামিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার দুপুরে ফালাকাটার ধূপগুড়ি মোড় থেকে শুরু হয় বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা। এই অভিনন্দন যাত্রায় রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা-সহ আরও অনেকে। অভিনন্দন যাত্রাটি গোটা ফালাকাটার বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে। পরবর্তীতে ফালাকাটা চৌপথিতে পথসভাও হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি প্রতিটি জেলায় মিছিল করছি। বিজেপির সঙ্গে মানুষ আছে। ফালাকাটা বিধানসভার উপনির্বাচনে শাসক দল টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করবে। কিন্তু তাতে কিছু হবে না।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাহাড়ের মিছিলকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “লোকসভা ভোটে মানুষ দিদিকে সমতলে নামিয়ে দিয়েছে। উনি আবার পাহাড়ে হাঁটাহাঁটি করে কী করবেন?”
[আরও পড়ুন: ‘কাউকে তাড়ানোর আগে আমাকে তাড়াতে হবে’, CAA বিরোধী মঞ্চ থেকে চ্যালেঞ্জ মুখ্যমন্ত্রীর]
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যকে ভাল চোখে দেখছেন না খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গেরুয়া শিবিরের সৈনিককে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। জ্যোতিপ্রিয় বলেন, “দিলীপ ঘোষের মতো মানুষদের পাগলা গারদে থাকা উচিত। বিজেপি দলটাই পাগলের দলে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি ভয়ংকর। পাগলেরা রাস্তায় নেমে পড়েছে। একটা পাগলের কথার জবার সুস্থ শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ কীভাবে দেবেন? রাঁচির গারদ থেকে উনি বেরিয়ে এলেন কীভাবে? ভেবে দেখা দরকার। এটা রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দের বাংলা। গোটা দলটাই পাগলে ভরে গিয়েছে। ওনাদের সুচিকিৎসার প্রয়োজন।”