Advertisement
Advertisement

Breaking News

lottery

৩০ টাকার টিকিট কেটে রাতারাতি কোটিপতি টোটো চালক, আনন্দে আত্মহারা পরিবার

কী করবেন এত টাকার? নিজেই উত্তর দিলেন ২১ বছরের যুবক।

Kandi: Toto driver became crorepati as he wins lottery | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:November 16, 2020 7:58 pm
  • Updated:November 16, 2020 7:58 pm

চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: একেই বলে ভাগ্যের ফের। ৩০ টাকার টিকিট কেটে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন মুর্শিদাবাদ জেলার এক টোটো চালক। সোমবার সকালে এই খবর শুনে চক্ষু ছানাবড়া বড়ঞা থানার কুমরাই গ্ৰামের বছর একুশের যুবক বিকাশ বাগদী-সহ গোটা পরিবারের। এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না যে কোটি টাকার মালিক তিনি।

গ্ৰামের এক অতি সামান্য কৃষক পরিবারের সন্তান বিকাশ। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পাশের পর তার লক্ষ্য ছিল সরকারি চাকরি পাওয়া। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। কিন্তু জীবনের স্রোতে তো থেমে থাকার উপায় নেই। সংসারের কথা ভেবে তাই মাস খানেক আগে ধার-দেনা করে একটি টোটো কিনে চালাতে শুরু করেন বিকাশ। রবিবার রাতে কান্দি (Kandi) বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে প্রতিদিনের মতো যাত্রী নামিয়ে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক তখনই ৩০ টাকা দিয়ে এক ঘর টিকিট কাটেন বিকাশ। আর সকালে চোখ খুলেই জানতে পারেন, প্রথম পুরস্কারটি তিনিই জিতেছেন। প্রথমে বিশ্বাস না হলেও পরে টিকিট মিলিয়ে দেখেন, সত্যিই এক কোটি টাকা পেয়েছেন। কী করবেন এত টাকার? বিকাশের কথায়, “এই টাকা দিয়ে আগে বাবার চিকিৎসা করাবেন। তারপর পরিবারের স্বাচ্ছন্দ্য ফেরানোর কাজে তা ধীরে ধীরে ব্যবহার করব।”

Advertisement

lottery

Advertisement

[আরও পড়ুন: গরুপাচার কাণ্ডে জড়িত কয়লা ‘মাফিয়া’ লালা! আঁচ পেয়েই তদন্ত করতে চায় সিবিআই]

বিকাশের কোটিপতি হয়ে ওঠার খবর সোমবার সকালে ছড়িয়ে পড়লে ভিড় জমে যায় গোটা গ্রামজুড়ে। বিকাশের বাবা রাখো হরি বাগদী জানিয়েছেন, “আমার বড় ছেলে লেখাপড়ায় খুব ভাল হলেও অভাবের সংসার হওয়ায় চাষবাস করে বেশি দূর লেখাপড়া করাতে পারেনি। ছেলেও সংসারের হাল ধরার জন্য প্রথম থেকেই তৈরি ছিল। দু’বছর আগে বিয়ের পর সংসারের অবস্থা আরও খারাপ হয়। ছোট ছেলে চাষবাস করে আমার সঙ্গে। বড় ছেলে বিকাশ সংসারের হাল ফেরানোর জন্য মাসখানেক আগেই ধার-দেনা করে একটি টুকটুক গাড়ি কেনে। মাঝেমধ্যে লটারি টিকিট কাটার অভ্যাস ছিল ওর। এবার সত্যিই ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ল।”

বিকাশ বাগদী বলেন, “সারাদিন টুকটুক চালিয়ে সন্ধেয় কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে একঘর টিকিট ৩০ টাকা দিয়ে প্রতিদিনই কাটতাম। যদি ঠাকুর মুখ তুলে চায়। শেষ পর্যন্ত সেটাই হল। সকালে খবর পাই আমি প্রথম পুরস্কার এক কোটি টাকা পেয়েছি। আমি এই টাকায় সংসারের হাল ফেরাব আর মা-বাবার চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করব।”

[আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করতে চায় রেল, চিন্তা বাড়াচ্ছে যাত্রী সংখ্যা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ