Advertisement
Advertisement

Breaking News

পরিযায়ী শ্রমিক

লকডাউনে খড়গপুরে আটকে ভিনরাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক, মহকুমা শাসকের সঙ্গে কথা বিপদগ্রস্তদের

২০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের হাতে খাবারদাবার তুলে দেন তিনি।

Kharagpur's Sub divisional officer helps migrant labourer
Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 30, 2020 7:46 pm
  • Updated:April 30, 2020 7:46 pm

অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: পেটের দায়ে কাজ করতে এসেছিলেন। কিন্তু লকডাউনের আগে সময়মতো ফিরতে না পাওয়ায় এ রাজ্যে আটকে পড়েছেন তাঁরা। বাংলায় আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালেন প্রশাসনিক কর্তারা। খড়গপুরের মহকুমা শাসক শুনলেন তাঁদের সমস্যার কথা। দিলেন চাল, ডাল, শুকনো খাবার। মহকুমা শাসকের সাহায্যই যেন বিপদের দিনে পরিযায়ী শ্রমিকদের অক্সিজেন জোগাচ্ছে।

প্রশাসনের কর্তাদের সামনে পেয়ে হাত জোর করে আকুল আবেদন জানালেন আয়ূব আলি, সালামউদ্দিন এবং অমিত সাউরা। তাঁরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। কুড়ি জন শ্রমিকের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হালিশহর এলাকার চার জন রয়েছেন। ১৫ জন বিহারের এবং ১জন ঝাড়খণ্ডের। তাঁরা সকলেই ঠিকাদারের অধীনে রেলের পরিত্যক্ত বগি কাটার কাজ করেন। লকডাউনের আগে কাজের জন্য খড়গপুর শহরে আসেন। কিন্তু লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় আর বাড়ি ফিরতে পারেননি। এখন তাঁদের দিন কাটছে রেলের পুরনো দু’টি পরিত্যক্ত বগির মধ্যে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই অসহায় ২০ জন পরিযায়ী ঠিকা শ্রমিকের পাশে দাঁড়ালেন প্রশাসনের কর্তারা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: যাত্রা শুরু ৯৫টি বাসের, রবিবারের মধ্যে বাংলায় ফিরবেন পড়ুয়ারা]

প্রশাসনিক কর্তারা অসহায় পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর আশ্বাস দেন। তাঁদের প্রত্যেককে আলাদাভাবে বেশ কয়েকটি ফলের প্যাকেট তুলে দেন। আর সমষ্টিগতভাবে দেড় কুইন্টাল চাল, ডাল, সোয়াবিন, আলু-সহ কিছু খাদ্যসামগ্রী ও নগদ কিছু টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদেরকে বলা হয় প্রত্যেকের বাড়ির ঠিকানা-সহ নামের একটি তালিকা তৈরি করে খড়গপুর মহকুমা শাসকের কাছে পাঠাতে। আর যে কোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করার জন্য মহকুমা শাসক নিজের ফোন নম্বর ওই শ্রমিকদের দিয়েছেন। খড়গপুরের মহকুমা শাসক বৈভব চৌধুরি জানানা, “এই শ্রমিকদের বলা হয়েছে প্রত্যেকের বাড়ির ঠিকানা-সহ নামের একটি তালিকা তৈরি করে পাঠাতে। তারপরে ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের নিজেদের বাড়িতে পাঠানোর জন্য সেই রাজ্যের সরকারের সঙ্গে কথা বলা হবে। তারপরে যখন যে রাজ্যের গাড়ি পাওয়া যাবে তখন পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ