Advertisement
Advertisement
পুঞ্চা থানা ওসি পারমিতা সমাদ্দার

রক্তে মিশে লড়াই, পুঞ্চা থানার প্রথম মহিলা ওসি হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন এই ‘লেডি সিংঘম’

সেনাকন্যা পারমিতার ছোট থেকেই পুলিশে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ছিল।

Lady cop takes charge of Purulia's Puncha police station, writes history
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 16, 2020 9:40 pm
  • Updated:July 16, 2020 11:35 pm

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: কখনও বুলেটে। কখনও মোবাইল টহলদারি ভ্যানে। কখনও আবার হাঁটা পথেই চলছে তাঁর এরিয়া ডমিনেশন। দিন হোক বা রাত। শবর টোলা থেকে অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে যেমন এরিয়া ডমিনেশন, তেমনই আবার আমজনতার অভাব অভিযোগ মেটাতে পুলিশ (Police) অ্যাসিন্ট্যান্ট বুথে মানুষের মুখোমুখি। শুনছেন পানীয় জলের অভাব থেকে রাস্তা খারাপের সমস্যা। আবার থানার অফিসার-ইন-চার্জয়ের চেয়ারে বসে শুনতে হচ্ছে গার্হস্থ্য হিংসা, নারী নির্যাতন, রাজনৈতিক কাজিয়া। গত এক মাস ধরে এভাবেই পুরুলিয়ার (Purulia) পুঞ্চা থানা ‘শাসন’ করছেন ওসি পারমিতা সমাদ্দার। তবে থানার পুলিশ কর্মী থেকে এলাকার মানুষজন বলেন ‘বড়দি’ বা ‘ম্যাডাম ওসি’।

Paramita-Samaddar
১৯৫৬ সালে বিহার থেকে বাংলায় অন্তর্ভুক্ত হয় পুরুলিয়া। তখন থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৬৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম পুরুলিয়ার কোনও সাধারণ থানার ওসির চেয়ার সামলাচ্ছেন মহিলা। যা পুরুলিয়ার পুলিশ ম্যানেজমেন্টে নজির। আসলে সেনা কন্যা পারমিতা সেই ছোট থেকেই পুলিশ হওয়ার স্বপ্নে বুঁদ। বলা যায়, কিশোরী থেকেই তিনি নিজেকে একজন পুলিশ হিসাবে তৈরি করতে লড়াই শুরু করেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য তাঁর বাবাকে দেখে এই পেশা বেছে নেওয়া। তাই আজ সাধারণ থানার দায়িত্ব পেয়ে যেন সামগ্রিকভাবে তাঁর স্বপ্ন সফল হয়েছে। যদিও সাব ইন্সপেক্টর এই পুলিশ অফিসার সাধারণ থানা হিসাবে পুঞ্চার ওসির আগে রঘুনাথপুর ও পুরুলিয়া মহিলা থানার ওসির চেয়ার সামলেছেন। সেই কাজ দক্ষতার সঙ্গে করাতেই তাঁকে একটি সাধারণ থানার ওসির দায়িত্ব দেয় পুরুলিয়া জেলা পুলিশ।

Advertisement

Paramita-Samaddar

Advertisement

 

পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস. সেলভামুরুগন বলেন, “পুলিশ বিভাগে পুরুষ, মহিলা বিষয় নয়। যিনি ভাল কাজ করবেন তাঁকেই আমরা বড় কাজের দায়িত্ব দিই।”

[আরও পড়ুন: ‘বাম আমলে না পেত ত্রাণ, না পেত দান’, আমফানের ক্ষতিপূরণের ভুয়ো আবেদন বাতিল মমতার]

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজিতে স্নাতকোত্তর পারমিতা ঝরঝরে ইংরাজিতে কথা বলার পাশাপাশি হিন্দিতেও তুখোড়। আসলে তাঁর স্নাতক এই বিষয়েই। ফলে ঝাড়খন্ড লাগোয়া এই জেলায় তিন ভাষার দখলে থানা ‘শাসন’ করার কাজ যেন তিনি অনেকটাই সহজ করে ফেলেছেন। বুলেটে স্টার্ট দিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন নির্ভয়পুর, ভূতাম, আড়ালি, মুদিডির মতো প্রত্যন্ত জনপদ। অর্ধেক আকাশই যেন হাতের মুঠোয় পুড়ে নিয়েছে গোটা এলাকায়।

Paramita-Samaddar

ছবি: অমিতলাল সিং দেও

[আরও পড়ুন: সোনাজয়ী অ্যাথলিট স্বপ্না বর্মনের পাশে মুখ্যমন্ত্রী, বনদপ্তরের মামলা তোলার আশ্বাস]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ