সুব্রত বিশ্বাস: এবার করোনা আক্রান্ত লিলুয়া রেল হাসপাতালের কর্মী। বুধবার রিপোর্ট আসার পর ওই কর্মীর শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাস পাওয়া যায়। বেলুড় চাঁদমারি খাটাল এলাকাবাসী আক্রান্ত এই রেলকর্মীর বাড়ির সাতজনকে কুমিল্লাপাড়া বিএড কলেজ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আতঙ্কের মাঝেই স্বস্তি, করোনাকে পরাস্ত করে ঘরে ফিরলেন অশীতিপর বৃদ্ধা]
জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তি লিলুয়া রেল হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগের এটেন্ডেন্ট। ক’দিন আগে জ্বর হওয়ায় তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছিল। বাড়াবাড়ি হওয়ায় দু’দিন আগে লিলুয়া হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। বুধবার তাঁর লালারস পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাকে সেখানে রেখেই চিকিৎসা করা হবে। আক্রান্ত ব্যক্তি আগে বিএসএফ-এ কর্মরত ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর রেলে যোগ দেন তিনি।
এই ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বালি জাগাছা সরকারিভাবে কন্টেনমেন্ট জোন। আগে এই ব্লকে ঘোষপাড়া, চকপাড়ায় আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। রবিবার থেকে বাজার বন্ধ। স্থানীয়দের অভিযোগ, খাটাল, চাঁদমারি বিস্তীর্ন এলাকায় এখনও মানুষজন সামাজিক দূরত্ব না মেনেই আড্ডা মারছেন, চলছে বেচা-কেনা। এর মধ্যে আবার আক্রান্তের ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। এলাকাগুলি এতটাই ঘিঞ্জি যে আরও কড়া ব্যবস্থা না নিলে এই এলাকায় ভাইরাস ভয়াবহভাবে ছাড়িয়ে পড়বে বলে এলাকাবাসীর মত। এলাকাটি সিল করে দিতে চায় পুলিশ।
এদিকে, ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ হাজার পেরিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৭৪ জনের। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ জব্দ করতে লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়বে বলেই ইঙ্গিত মিলেছে। গ্রিন জোনে ছাড় দিয়ে অন্যত্র চলতে পারে লকডাউন। তবে সরকারি তরফে এখনও কোনও ঘোষণা হয়নি। বাংলার করোনা পরিস্থিতিও সন্তোষজনক নয়। ২২ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে এ রাজ্যে। আক্রান্ত ৫৫০। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি হয়েছে কোভিড ম্যানেজমেন্ট ক্যাবিনেট কমিটি।