Advertisement
Advertisement
Malda's DM orders probe in school bus accident case

কেন বহু পুরনো স্কুলবাসে চলছিল পড়ুয়াদের যাতায়াত? মালদহের দুর্ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ জেলাশাসকের

শনিবার দুপুরে নয়ানজুলিতে পড়ে যায় পড়ুয়া বোঝাই স্কুলবাসটি।

Malda's DM orders probe in school bus accident case । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 3, 2022 3:31 pm
  • Updated:July 3, 2022 3:33 pm

বাবুল হক, মালদহ: মালদহে (Malda) স্কুলবাস দুর্ঘটনায় একাধিক প্রশ্নের ভিড়। বহু বছরের পুরনো বাস কীভাবে স্কুলপড়ুয়াদের যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদহের জেলাশাসক। এদিকে, মালদহের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিতে থাকা পড়ুয়ারা এখন আতঙ্কিত।

শনিবার দুপুরে বাসটি (School Bus) ইংরেজবাজার শহর থেকে কিছুটা দূরে মালদহ-মানিকচক রাজ্য সড়কের লক্ষ্মীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারায়। নয়ানজুলিতে পড়ে যায় বাসটি। ছাত্রছাত্রীরা বাসের ভিতরেই এদিক ওদিক ছিটকে পড়ে যায়। বাসে থাকা খুদে পড়ুয়ারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কান্নাকাটি শুরু করে দেয় অনেকে। স্থানীয়রা দৌড়ে আসেন। বাসের ভিতরে থাকা ছাত্রছাত্রীদের উদ্ধারে হাত লাগান তাঁরা। অল্পবিস্তর সকলেই জখম হয়। তাদের মধ্যে ২০-২৫ জনের চোট বেশ গুরুতর। পড়ুয়াদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার দুপুর পর্যন্ত ৫ জন ভরতি হাসপাতালে। তাদের বেশিরভাগেরই মাথায় চোট লেগেছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সে ভরতি আইসিইউতে। আরেকজনকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ক্লাব ছাড়তে চান, সরকারিভাবে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কাছে আবেদন রোনাল্ডোর]

এদিন হাসপাতালে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করেন সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি জানান, “ছোটদের কিছু হলে খারাপ লাগে। প্রার্থনা করি যেন ওরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। চালক কয়েকজন শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়। প্রশাসন পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। প্রত্যেকটি স্কুলবাসের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।” হাসপাতালে যান জেলাশাসক নীতীন সিংহানিয়াও। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি।

Advertisement

এদিকে, দুর্ঘটনার আতঙ্ক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি পড়ুয়ারা। শুভম রাজ নামে এক পড়ুয়া জানায়, বাসটি দ্রুতগতিতে চলছিল না। তবে আচমকাই খুব জোর স্টিয়ারিং ঘোরান চালক। সেই সময় দুর্ঘটনা ঘটে। সন্তানদের বড়সড় কোনও ক্ষতি না হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে অভিভাবকরা। এক অভিভাবক জানান, স্কুলবাসটি অনেকদিনের পুরনো। দু’টি বাস বিকল হয়ে গিয়েছে। তাই একটি বাসেই চলছিল পড়ুয়াদের যাতায়াত। সেক্ষেত্রে বহু পড়ুয়াকে বাসে দাঁড়িয়েও স্কুলে পৌঁছতে হচ্ছিল। কেন স্কুল কর্তৃপক্ষ এই সমস্যার দিকে নজর দিল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অভিভাবকরা।

[আরও পড়ুন: OMG! অণ্ডকোষ বেজেই চলেছে বাঁশির মতো! আজব অসুখে চরম বিপাকে বৃদ্ধ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ