সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদিকে তো নিশানা করছেনই, অধীর চৌধুরির খাসতালুক মুর্শিদাবাদে ভোট প্রচারে কংগ্রেসকেও ছেড়ে কথা বলছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কান্দির জনসভা থেকে ফের রাজ্যে কংগ্রেস-আরএসএস আঁতাতের অভিযোগ তুললেন তিনি। তৃণমূলনেত্রী মমতা বলেন, ‘কংগ্রেসের কোনও আদর্শ নেই। এ রাজ্যে কংগ্রেস-বিজেপি-সিপিএম সবই এক। বহরমপুর ও জঙ্গিপুরে কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করছে আরএসএস।’ ‘বাংলার প্রেক্ষিতে’ কংগ্রেস ও সিপিএমকে একটি ভোট না দেওয়ার আবেদন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[ আরও পড়ুন: ভারতে এসে ভোটপ্রচারের জের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে ঢাকা ফিরলেন ফিরদৌস]
বেলডাঙা, ভগবানগোলার পর এবার কান্দি। অধীরের খাসতালুক মুর্শিদাবাদে একের এক জনসভা, প্রচারে ঝড় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কান্দিতে জনসভায় শুরুতে অবশ্য কিছুটা নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েন মমতা। প্রয়াত কংগ্রেস নেতা অতীশ সিংয়ের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘আমিও একসময়ে কংগ্রেস করতাম। উনি আমায় খুবই ভালবাসতেন, স্নেহ করতেন। কিন্তু কংগ্রেস সিপিএমের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। তাই ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করি। তৃণমূল কংগ্রেস এখন বটবৃক্ষের পরিণত হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস আছে বলে বাংলায় শান্তি আছে।’ সেই সূত্রেই ফের এ রাজ্যে কংগ্রেস ও বিজেপির আঁতাতের অভিযোগ তোলেন মমতা। বলেন, ‘ভোটের সময় ছাড়া ক’দিন বহরমপুরে থাকেন সাংসদ? কেবল মুখে বড় বড় কথা বলেন, তৃণমূলে বিরুদ্ধে কুৎসা করেন। বহরমপুর ও জঙ্গিপুরে কংগ্রেসে পাশে দাঁড়িয়েছে আরএসএস।’
এনআরসি, কর্মসংস্থান-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘মোদির জমানায় বন্ধ হতে চলেছে বিএসএনএল, জেটের মতো সংস্থা। বিমানে ইকোনমি ক্লাসে এখন আর যাত্রীদের আমিষ দেওয়া হয় না। মোদির রাজত্বে সারা দেশে ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।’ রাজনৈতিক নেতাদের সবাই শ্রদ্ধা করেন, কিন্তু মোদিকে সবাই ভয় পায় বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।