স্টাফ রিপোর্টার: উত্তরপ্রদেশে CAA ও NRC বিরোধী আন্দোলনে শামিল হয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মালদহের ছয় যুবক। গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল রাজ্য প্রশাসন। এবার তাদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ঘোষণা করল রাজ্য। ধৃতদের মুক্তির জন্য নিয়োগ করা হল আইনজীবী। সরকারিভাবে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
CAA ও NRC’ এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল দেশ। আগুন লেগেছে যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশেও। সংশোধিত নাগরিকপঞ্জীর বিরুদ্ধে টানা চলছে মিছিল ও মিটিং। নানা স্তরে চলছে আন্দোলন। দফায় দফায় বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কয়েকহাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের গুণ্ডার তকমা দিয়েছে বিজেপি সরকার। আন্দোলনের জেরে যারা ধরা পড়েছেন তাঁদের মধ্যেই ছিলেন মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের খাইরুল হক, সালেমুল হক, সাগর আলি ও সঞ্জুর আলি-সহ মোট ছয়জন। তাঁদের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল পরিবার। অবশেষে তাঁদের মুক্ত করতে পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রের খবর, ছ’জনের দ্রুত মুক্তির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। তবে এখন আদালত বন্ধ। ২ জানুয়ারি আদালত খুললেই মুক্তির জন্য আবেদন জানানো হবে। তৃণমূলের কথায়, বিজেপি বাঙালি-বিরোধী একটি দল। তা ছাড়া এ রাজ্যের কেউ সেই আন্দোলনে গিয়ে ধরা পড়েছে। এ রাজ্য এনআরসির বিরোধী। তার প্রতিশোধ ধৃত ওই ছয় বাঙালি যুবকের উপর নেওয়া হতে পারে।
[আরও পড়ুন: পুলিশের মধ্যস্থতায় মিটল বিবাদ, অবশেষে যুগলের বিয়েতে মত দিল পরিবার]
প্রসঙ্গত, ধৃতদের মধ্যে কেউ উত্তরপ্রদেশে রয়েছেন বছর দশেক। আবার কেউ পাঁচ বছর। উত্তর প্রদেশের লখনউয়ের তুলসি মার্কেটের একটি হোটেলে কাজ করতেন মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের ওই শ্রমিকরা। কিন্তু যে হঠাৎ যে এমন বিপত্তি ঘটে যাবে, সেটা কখনই ভাবেননি তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। এমনকী তাঁদের গ্রেপ্তারের খবর শুনে অবাক পড়শিরাও। প্রথম থেকেই তাঁদের অভিযোগ মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে ধৃতদের।