অর্ক দে, বর্ধমান: আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে শুরু হতে চলেছে আম উৎসব। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির আম সেখানে পাঠানো হয়। এতদিন মালদহ-সহ বিভিন্ন জেলার আম দিল্লি পাড়ি দিত। পূর্ব বর্ধমানের হিমসাগর আমও এবার পাড়ি দিচ্ছে দিল্লিতে। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ আমের জেলা বলতে প্রথমেই উঠে আসে মালদহের নাম। আম উৎপাদন ও আমের গুণগত মানের বিচারে মালদহের হিমসাগর প্রজাতির আমের বিশ্ব জোড়া খ্যাতি। প্রতি বছর দিল্লিতে আয়োজিত হয় ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল।’ বাংলার বিভিন্ন প্রজাতির আমের প্রদর্শনী ও বিক্রির উদ্দেশ্যেই এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। মালদহের আম প্রতিবছর সেখানে যায়। পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির আম পাঠানো হয় এই উৎসবে। পূর্ব বর্ধমানের হিমসাগর আম অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় স্বাদে ও গন্ধে পিছিয়ে নেই। স্থানীয় বাজার ও পার্শ্ববর্তী জেলায় রপ্তানি করা হয়। কলকাতায় আয়োজিত আম উৎসবে অংশ নেয় পূর্ব বর্ধমানের হিমসাগর। এবার পালা রাজধানী যাত্রার।
[আরও পড়ুন: ফের বাবা হলেন মুকেশপুত্র আকাশ, আম্বানি পরিবারে নতুন সদস্যের আগমন]
জেলা প্রশাসনের উদ্যান পালন দপ্তরের উদ্যোগে এবার পূর্ব বর্ধমান জেলা আম পাড়ি দেবে দিল্লি। ২০১৩ সাল থেকে বাংলার আমের বাজার নিয়ে দিল্লিতে এই উৎসব শুরু হয়েছে। এবছর ৫ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত দিল্লিতে ‘হ্যান্ডলুম হাট’ বাজারে এই উৎসব আয়োজিত হতে চলেছে। এবছর প্রথমবারের জন্য পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে আম নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ২০০ কেজি আম নিয়ে যাওয়া হবে। যেহেতু, পূর্ব বর্ধমানের হিমসাগর আমের গুণগত মান ভাল। তাই এই আমের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। বাংলার পাশাপাশি দিল্লিবাসীর মন জয় করবে বলে মনে করছেন অনেকে।
পূর্ব বর্ধমানের কালনায় হিমসাগর আমের উৎপাদন বেশি। জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, কেবলমাত্র কালনা ও পূর্বস্থলি এলাকায় ৩ হাজার ৯৪০ হেক্টর এলাকায় আম চাষ হয়েছে। মোট উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৬৪৬ মেট্রিক টন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় উৎপাদিত হিমসাগর প্রজাতির আমই পাঠানো হবে দিল্লির আম উৎসবে। বিশেষ পদ্ধতিতে প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে এই আম পৌঁছে দেওয়া হবে। এখন রাজ্যের অন্যান্য জেলার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পূর্ব বর্ধমানের হিমসাগর আম দিল্লিবাসীর বা দিল্লিতে বসবাসকারী বাঙালির মন জয় করতে পারে কিনা সেটাই দেখার।