১৪ আশ্বিন  ১৪৩০  সোমবার ২ অক্টোবর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

২৩ বছর পার, বাম আমলে নেওয়া জমি ফেরত চায় কলকাতা পুরসভা

Published by: Sucheta Sengupta |    Posted: May 31, 2023 6:30 pm|    Updated: May 31, 2023 6:56 pm

Kolkata Municipal Corporation wants back land taken 23 years ago | Sangbad Pratidin

অভিরূপ দাস: ভবন করবে বলে পুরসভার জমি নিয়েছিল কারিগরি শিক্ষা দপ্তর। ২৩ বছর কেটে গেলেও একটা ইটও গাঁথা হয়নি সে জমিতে। বাম আমলের বিতর্কিত সেই জমি হস্তান্তরের নিরসন চায় কলকাতা পুরসভা (KMC)। দাবি, সে জমি ফের ফেরত দেওয়া হোক পুরসভাকে। কলকাতা পুরসভার ১৩ নম্বর বরোর কার্যালয় সেখানে তৈরি করার দাবি তুললেন এই বরোর চেয়ারম‌্যান কাউন্সিলর রত্না শূর। এত বছর পরও নিজেদের বরো অফিস নেই বেহালা এলাকার বাসিন্দাদের।

৫১৬ নম্বর, ডায়মন্ড হারবার রোড (Diamond Harbour)। কলকাতা পুরসভার ১৩ এবং ১৪ নম্বর বরোর অফিসের ঠিকানা একই। আসলে ১৪ নম্বর বরোর অফিসেই চলে দুই বরোর কাজ। দুই বরো মিলিয়ে জনসংখ‌্যা প্রায় ৯০ হাজার। তাদের জন‌্য মোটে একটা বরো অফিস! কলকাতা পুরসভার তেরো নম্বর বরোর চেয়ারম‌্যান রত্না শূর জানিয়েছেন, বিশাল এই বরোর বিপুল জনগণকে পরিষেবা দিতে গেলে আলাদা বরো অফিসের প্রয়োজন। ১১৫, ১১৬, ১১৭, ১১৮, ১১৯, ১২০, ১২২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ১৩ নম্বর বরো। এই বরোয় জনসংখ‌্যা ৩৫ হাজারের কাছাকাছি।

[আরও পড়ুন: জুনে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা, স্কুলে গরমের ছুটি আরও ১০ দিন বাড়ল]

অন‌্যদিকে ১৪ নম্বর বরোয় জনসংখ‌্যা ৫৫ হাজারের কাছাকাছি। ১২১, ১২৭, ১২৮, ১২৯, ১৩০, ১৩১, ১৩২ নম্বর ওয়ার্ড চোদ্দো নম্বর বরোর অন্তর্গত। ১৩ নম্বর বরোর চেয়ারম‌্যান রত্না শূর জানিয়েছেন, ১৩ নম্বর বরোয় আলাদা কোনও অফিস নেই। দূরদূরান্ত থেকে সাধারণ মানুষকে আসতে হয় ডায়মন্ড হারবার রোডে ১৪ নম্বর বরো অফিসে। রত্না শূরের দাবি, অন‌্যান‌্য প্রতিটি বরোর মতো তেরো নম্বর বরোতেও স্বতন্ত্র অফিস গড়ে তুলতে হবে।

[আরও পড়ুন: ‘আর ভোটে দাঁড়াব না’, উপার্জনের লক্ষ্যে শাড়ির ব্যবসা শুরু তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের]

বরো অফিস করতে গেলে প্রয়োজন জমির। ৪৪ নম্বর রাজা রামমোহন রায় রোডে পুরসভার ১০ কাঠা জমি ছিল। বাম আমলে সে জমি নিয়ে নেয় কারিগরি শিক্ষা দপ্তর। কথা ছিল, সে জমিতে ভবন তৈরি হবে। কিন্তু ক্ষমতায় থাকতে একটা ইটও বামেরা গাঁথেনি সে জমিতে। ১৩ নম্বর বরোর চেয়ারম‌্যান রত্না শূরের দাবি, জমি যখন ব‌্যবহারই করা হয়নি, পুরসভা ফের সে জমি ফিরিয়ে নিক। বরো চেয়ারম‌্যানের দাবি, বরো অফিস না থাকায় বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালাতে কষ্ট হচ্ছে। এমনকী বেহালার এই বরোতে অ‌্যাম্বুল‌্যান্স রাখার আলাদা জায়গা নেই। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, জমি ফেরত নেওয়ার কিছু আইনকানুন রয়েছে। তার জন‌্য অপেক্ষা করতে হবে। জমি হস্তান্তর হলেই দ্রুত তৈরি হবে নতুন বরো অফিস।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে