Advertisement
Advertisement
Manish Kothari

মণীশ কোঠারির কোটি টাকার জমির যৌথ মালিক পুরপ্রধান ও TMC নেতা! বোলপুরে চাঞ্চল্য

জমি কেনার টাকার উৎস কী, খোঁজ শুরু তদন্তকারী দলের।

Manish Kothari's land is jointly owned by chairman and TMC leader of Bolpur | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 20, 2023 7:19 pm
  • Updated:March 20, 2023 7:44 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: এবার গরু পাচার কাণ্ডে মণীশ কোঠারির সঙ্গে নাম জড়াল বোলপুরের পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ ও তাঁর স্বামী জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষের। অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশের সঙ্গে যৌথভাবে প্রায় ১৫ কোটি টাকার জমি কিনেছিলেন সুদীপ্ত ও পর্ণা।

কিন্তু কেন যৌথভাবে এই বিপুল সম্পত্তি কেনা? সেই জমি কেনার টাকার উৎস কী, সে নিয়ে খোঁজ শুরু করেছে তদন্তকারী দল। ইতিমধ্যে গরু পাচার মামলার টাকা গরমিল তথ্য গোপন-সহ একাধিক মামলায় মণীশ কোঠারিকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তাঁর সঙ্গে সুদীপ্ত ও পর্ণার যোগ নিয়ে দলের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সে প্রসঙ্গে সুদীপ্ত ঘোষ জানান, ওই জমির অংশীদার ১০ জন। জমির অংশে তাঁদের ৫ শতাংশ আছে। তাছাড়া তাঁর দাবি, তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে ৩ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি হবে না। তাঁর নামে অপপ্রচার করা হচ্ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভরা প্ল্যাটফর্মে স্ক্রিনে ভেসে উঠল পর্ন ছবি, শীৎকারে শোনাই গেল না ট্রেনের ঘোষণা!]

গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই উঠে আসছে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির কাগজপত্র নিয়েও রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। ইতিমধ্যে ইডির স্ক্যানারে রয়েছে কেষ্ট মণ্ডলের হিসাবরক্ষকের সম্পত্তিও। এবার সেই বৃত্তে নাম জড়াল তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রতর একসময় সবথেকে ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ ও তাঁর স্ত্রীর। সূত্র অনুযায়ী, বীরভূমের ইলামবাজার এলাকার গোপালনগর গ্রামে প্রায় ২০ বিঘা জমি কেনা হয়েছে। যে জমির বাজার মূল্য আনুমানিক ১৫ কোটি টাকা। যে জমির মালিক মণীশ ও  তাঁর পরিবারের আত্মীয়রা। তাঁদের সঙ্গে যৌথ মালিক বোলপুরের ঘোষ দম্পতি।

Advertisement

বিরোধী ও তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, মনীশ কোঠারির বিপুল সম্পত্তির পিছনেও রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচারের কালো টাকার যোগ। সেই কালো টাকার সঙ্গে সুদীপ্ত ঘোষ ও পর্ণা ঘোষের নাম জড়িয়ে পড়ায় তারাও বিব্রত। পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ পুরো বিষয়টাই অস্বীকার করেন। তিনি বলেন যে যেমন মনে করছে করুক। তাহলে কি পর্ণাকে অন্ধকারে রেখেই জমি রেজিস্ট্রি হয়েছে? তাঁর স্বাক্ষর ও হাতের ছাপ ছাড়া কি করে জমির মালিকানায় তাঁর নাম ঢুকল? সেটাও তদন্তের বিষয়।

[আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় নয়া সমীকরণ! বিজেপি নয়, স্পিকার নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গেই তিপ্রা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ