দেবব্রত দাস, খাতড়া: স্নান করতে যাওয়া মহিলাদের ছবি লুকিয়ে তুলছেন বালি খাদানের কর্মীরা। এই অভিযোগ ঘিরে তীব্র উত্তেজনা বাঁকুড়ার রাইপুর থানার সিমলি গ্রামে। উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর চালালেন বালি খাদানের অফিসে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। পরে খাতড়ার এসডিপিও বিবেক বর্মার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে মহিলাদের স্নানের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বালি খাদানের কর্মীরা।
লকডাউন ধীরে ধীরে উঠতে থাকায় কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা সীমিত সংখ্যক কর্মী নিয়ে শুরু হয়েছে বালি খাদানের কাজ। বাঁকুড়ার রাইপুরের সিমলি গ্রামেও কর্মীরা বালি উত্তোলনের কাজ শুরু করেছেন। তারই মাঝে ঘটল এমন অপ্রীতিকর ঘটনা। শুক্রবার বিকেলে কংসাবতী নদীর সিমলি ঘাটে স্নান করতে নেমেছিলেন জনা কয়েক মহিলা। ঘাটের অদূরেই বালি খাদান। অভিযোগ, আচমকাই মহিলারা দেখতে পান, বালি খাদানের কর্মীরা লুকিয়ে মোবাইলে তাঁদের ছবি তুলছে। ব্যাপারটা বুঝতে পেরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তাঁরা।
কংসাবতী নদীতে সিমলি ঘাটের এই সরকারি বালি খাদানটি নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ বরাবরের। এরপর স্নান করতে যাওয়া মহিলাদের ছবি তোলার মতো অভিযোগ উঠতেই পরিস্থিতি একেবারে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গ্রামবাসী আর বালি খাদানের কর্মীদের মধ্যে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। খবর পেয়ে পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজিত জনতা তাদের উপরেও চড়াও হয়। অবস্থা সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। যদিও লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
খাতড়ার এসডিপিও বিবেক বর্মা বলেন, ”বালি খাদানের কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের গন্ডগোল হয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজিত জনতা পুলিশ কর্মীদের উপরে চড়াও হয়, দু’জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। পরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে, সমস্যা মিটে গিয়েছে।” আপাতত সমস্যা মিটলেও পরবর্তী সময়ে এই বালি খাদানের কাজকর্ম নিয়ে ফের অশান্তির আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.