Advertisement
Advertisement

Breaking News

অধ্যাপিকা

সহকর্মীদের হাতে মানসিক হেনস্তার শিকার, রাস্তায় তাণ্ডব অধ্যাপিকার

কয়েক মাস আগে থানার সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন জ্যোতি কুমারী শর্মা।

Mentally heckled by colleagues, professor stage protest at road
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:November 7, 2019 9:34 am
  • Updated:November 7, 2019 9:34 am

রাজা দাস, বালুরঘাট: সহকর্মীদের হাতে মানসিক হেনস্তার শিকার। প্রতিবাদে একপ্রকার তাণ্ডবলীলা চালালেন বালুরঘাট কলেজের এক অধ্যাপিকা। মাস কয়েক আগে একই অভিযোগ তুলে বালুরঘাট থানার সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই অধ্যাপিকা জ্যোতি কুমারী শর্মা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বালুরঘাট থানার পুলিশ। টানা তিন ঘন্টা পরে পুলিশ ওই অধ্যাপিকাকে নিয়ে আলোচনায় বসে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই অধ্যাপিকা মানসিক ভাবে অসুস্থ।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে বালুরঘাট কলেজে অর্থনীতি বিষয়ের অধ্যাপিকা হিসেবে কাজে যোগ দেন আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ার জ্যোতি কুমারী শর্মা। কাজে যোগ দেওয়ার কিছু দিন পর থেকেই তিনি কলেজের নিজস্ব আবাসনে থাকতে শুরু করেন। অভিযোগ, আবাসনে থাকা অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে বচসা বিবাদ লেগেই থাকত ওই অধ্যাপিকার। এমনকি কলেজেও অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গেও বচসা নিত্যদিনের। এর জেরে ২০১৭ সালের ২২ জুন কলেজে এক জরুরি বৈঠক ডাকে কর্তৃপক্ষ। সেই বৈঠকেও অধ্যাপিকাকে মানসিক ভাবে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ কোনও কথা না শুনেই তাঁকে একরকম দোষী সাব্যস্ত করে ছিল বলে দাবি।

Advertisement

এর প্রতিবাদে সেসময় বালুরঘাট কলেজ সংলগ্ন পুরসভার সামনে প্রকাশ্য রাস্তায় হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই অধ্যাপিকা। এবং রাস্তাতেই শুয়ে পরেন তিনি। প্রায় এক বছর পরে ফের একই অভিযোগ তুলে বালুরঘাট থানার সামনে রাস্তায় বসে পড়েন তিনি। কখনও বা রাস্তার মধ্যেই শুয়ে পড়েন। বুধবার একই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে বালুরঘাট কলেজে। এদিন কলেজের সহকর্মীর কাজে ক্ষুব্ধ হয়ে পরেন ওই অধ্যাপিকা। বিকেল ৫টা থেকে কলেজের সামনের রাস্তায় ওই অধ্যাপিকার বিক্ষোভ, চেঁচামেচিতে শোরগোল পরে যায়। রাস্তায় ভিড় যানজট তৈরি হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পুলিশ বা অন্য কারও কথাই শুনতে চাননি তিনি। রাস্তায় একটি গাড়ি আটকে চেপে ধরে বসে পড়েন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বন্ধ ঘরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় বৃদ্ধ খুন, গুরুতর জখম স্ত্রী-মেয়ে]

কখনও হাতে লাঠি, কখনও রাস্তার জমা লোকেদের চড় মারতে উদ্যত হতে দেখা যায়। রাত আটটা পর্যন্ত চলতে থাকে ওই ওই অধ্যাপিকার তাণ্ডব। শেষে বালুরঘাট থানার পুলিশের প্রচেষ্টায় কলেজের ভিতরে নিয়ে গিয়ে আলোচনায় বসানো হয় তাঁকে। অধ্যাপিকা জ্যোতি কুমারী শর্মার অভিযোগ, তিনি কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁর কলেজের সহকর্মী এবং আবাসনের প্রতিবেশীরা খারাপ ব্যবহার করছে। এমনকি তাঁকে প্রতিনিয়ত মানসিক ভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে কলেজ কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবার জরুরি ভিত্তিক বৈঠক ডাকলেও সেখানে তাঁর কোনও কথা শোনা হয়নি। বরং তাঁকে অপমান করা হয় বারবার। এর আগেও পুলিশকে অভিযোগ জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। এদিন তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষের ভুল পদক্ষেপের প্রতিবাদ করেন। সেখানেই তাঁকে মানসিক নির্যাতন করা হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ