Advertisement
Advertisement

Breaking News

এখনও ভৈরবীর জলে ১৫ জন, নদীপারে উৎকণ্ঠায় নিখোঁজদের পরিজনরা

সকাল থেকে নেমেছে ডুবুরি, উদ্ধারকাজে এনডিআরএফ।

Murshidabad bus accident: people in anxiety, still searching friends and family
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 30, 2018 3:11 am
  • Updated:January 30, 2018 3:21 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও কারও মনে আশা, কেউ সেটুকুও ছেড়েছেন। যাঁদের আশা শেষ, তাঁদের মনে শুধু একটাই কথা যদি কোনওভাবে প্রিয়জনের দেহ মেলে। মঙ্গলবারের সকাল ভৈরবী নদীর পারে এমনই আশা-নিরাশার দোলাচলে নিখোঁজদের পরিজনেরা। মুর্শিদাবাদের দৌলাতাবাদে উৎকণ্ঠায় থাকা মানুষগুলো তাকিয়ে এখন উদ্ধারকারী দলের দিকে।

[‘চালককে কান থেকে ফোন সরাতে বলেছিলাম, একবার যদি কথাটা শুনত!’]

Advertisement

MSD-ACCI-FUP.jpg-2

Advertisement

সোমবার সন্ধ্যে নামার পর তল্লাশি বন্ধ হয়ে যায়। অভিশপ্ত বাস থেকে মেলে একের পর এক মৃতদেহ। সাঁইত্রিশজনের দেহ পাওয়া গেলেও ওই বাসের আরও অন্তত পনেরো জনে যাত্রীর কোনও খোঁজ নেই। তাঁদের সন্ধানে এদিন সকাল থেকে প্রশিক্ষিত ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি শুরু হয়েছে। বোট নিয়ে উদ্ধারকাজে নেমে পড়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং এনডিআরএফ। তাঁরা তন্য তন্য করে খোঁজাখুঁজি করছে। এখনও কি ভৈরবীর পাঁকে আটকে রয়েছে দেহ? এই প্রশ্ন ঘুরছে নিখোঁজদের পরিবারের মনে। কারণ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার পরও যে পনেরোজনের হদিশ নেই।  ভৈরবীর পারে তাই একরাশ উকণ্ঠা আর উদ্বেগ। কেউ ভাবছেন হয়তো কোনওভাবে পেতে পারেন তাঁদের প্রিয়জনকে। এই যেমন মফিজুল মালিক। পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষটির ভাই হাসি আবদুল মালিক ছিলেন অভিশপ্ত বাসটিতে। এখনও ভাইয়ের অপেক্ষায় রাত থেকে নদীর পারে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দাদা। মফিজুলের আক্ষেপ ভাল করে বসে যাওয়ার জন্য ভাই স্টেট বাসে উঠেছিল। তাঁর বহরমপুর যাওয়ার তাড়া ছিল। সেই তাড়াহুড়োই যে এভাবে কাল হয়ে ফিরে আসবে তা তিনি দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি।  হাহুতাশ যাচ্ছে না ছাপোষা মানুষটির। আর জামাইবাবু বিকাশ বিশ্বাসের খোঁজে নদী আর হাসপাতাল করছেন সুমন মজুমদার। ভদ্রলোকের জামাইবাবু বিকাশ বিশ্বাস তাঁর ভাইকে নিয়ে নদিয়া থেকে ওই বাসে উঠেছিলেন। বিকাশবাবুর ভাই বেঁচে গেলেও তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। দিদি, ভাগনিকে কীভাবে সান্ত্বনা দেবেন ভেবে উঠতে পারছেন না সুমন।

[ফ্ল্যাট কিনতে চাই ১৫ লক্ষ টাকা, না পেয়ে বউদিকে খুন করল দেওর]

বছর দেড়েক আগে নদিয়ার শান্তিপুরে ভাগীরথীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছিল। তখনও মৃত্যুমিছিল। তবে ওই ঘটনার বেশ কিছু দিন পর অনেক দূরে অভিশপ্ত নৌকার যাত্রীদের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দার ধারণা, স্রোত কম থাকলেও দূরে কোথাও ভেসে যেতে পারে দেহ। দৌলতাবাদ এখন এসবেরই উত্তর খুঁজছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ