কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: পরিচিত এক মহিলাকে ৫০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন। সেই টাকা চাইতে গিয়েই কান ও হাতের চারটি আঙুল খোয়ালেন এক ব্যক্তি। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের গোকর্ণে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ব্যক্তি ভরতি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এদিকে, ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা।
[এলাকায় মদ ও গাঁজার ঠেকের প্রতিবাদ, ‘আক্রান্ত’ প্রাক্তন সাঁতারু]
মুর্শিদাবাদের কান্দির গোকর্ণ এলাকার বাসিন্দা অজিত হাজরা। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ছোট সংসার। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এলাকারই এক গৃহবধূর সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠেছিল অজিতের। ওই মহিলার স্বামীর তখন কর্মসূত্রে সৌদি আরবে থাকতেন। স্বামীর ফিরে আসার পর অবশ্য অজিতের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানেন ওই মহিলা। সম্পর্ক স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ৬ মাস। কিন্তু, এই অল্প সময়ের মধ্যে অজিতের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন ওই মহিলা। অভিযোগ, সম্পর্ক ত্যাগ করাই শুধু নয়, অজিতের পাওনা ৫০ হাজার টাকা ফেরত দিতেও অস্বীকার করেন ওই গৃহবধূ। মাস খানেক আগে টাকা চাইতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল অজিতকে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দোলের দিন দুপুরে আচমকাই ৭-৮ জনকে নিয়ে অজিতের বাড়িতে চড়াও হন ওই মহিলা ও তাঁর স্বামীকে। অজিতে মাটি ফেলে হাঁসুয়া কোপে ডান কান কেটে নেয় অভিযুক্তরা। এমনকী, হাঁসুয়ার কোপে শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায় ডান হাতের চারটি আঙুলও। আক্রান্তের চিৎকারে ছুটে আসেন বাড়ির লোক ও পাড়া প্রতিবেশীরা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে চম্পট দেয় হামলাকারীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় অজিত হাজরাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় গোকর্ণ হাসপাতালে। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় বহরমপুরের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। গোকর্ণ পুলিশ ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযুক্তের বাড়ির লোকেরা। অভিযুক্তরা পলাতক।
[খাঁড়িতে লুকিয়ে বিপদ, সুন্দরবনে বাঘের হানায় বেঘোরে মৃত্যু মৎস্যজীবীর]