বিপ্লব দত্ত, নদিয়া: চাকদহ থানা এলাকার বিষ্ণুপুরে গণপিটুনিতে মৃত্যু হল ৩৫ বছরের এক ব্যক্তির। ঘটনায় চাকদহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের দিদি।
ঘটনা বৃহস্পতিবারের। মৃত ব্যক্তির নাম পার্থ দে সরকার। বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা পার্থর ১৮ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল স্থানীয় মহিলা মৌসুমীর সঙ্গে। তাঁর এক ছেলে ও ১৬ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। পার্থর দিদি সোনালি দাসের অভিযোগ, তাঁর ভাই খুব ভাল মানুষ ছিলেন। স্ত্রী মৌসুমীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পারেন পার্থ। আর তারই প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্ত্রী সে অভিযোগ অস্বীকার করে ছেলে-মেয়ে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান। স্ত্রীর পিছন পিছন পার্থও সেখানে পৌঁছান। তারপরই মৌসুমী ও তাঁর বাড়ির লোকজন তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। আর তার জেরেই মৃত্যু হয় পার্থ দে সরকারের। কিন্তু মৌসুমী দেবীর মুখে শোনা যায় অন্য কথা।
[দক্ষিণ দিনাজপুরে ফের ইফতার পার্টির খাবারে বিষক্রিয়া, অসুস্থ অন্তত ৯০]
তাঁর দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর স্বামীর একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। বেশিরভাগ দিনই বাড়ি ফিরতেন না তিনি। ফিরলেও মদ্যপ অবস্থায় ফিরতেন। আর শুধু মদই নয়, ড্রাগ সেবনও করতেন স্বামী। যার ফলে পরিবারের সদস্যদের সামনে আসতেই হিংস্র হয়ে উঠতেন। মৌসুমী বলেন, “সম্ভবত নিজের মেয়েকেও বছরের পর বছর যৌন হেনস্তা করত স্বামী। আর এই খবর জানাজানি হওয়াতেই স্থানীয় বাসিন্দারা ওকে মারধর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল চাকদহ থানার পুলিশও। এরপর পুলিশ পার্থকে থানায় নিয়ে যায়। গতকাল পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দিলে বাড়ি ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। স্ত্রী মৌসুমী তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বাবার আর্থিক অবস্থা ভাল হওয়ার দরুন পার্থ দে সরকার কোনও কাজ করতেন না বলেও জানিয়েছেন মৌসুমী। তবে মৃত পার্থর দিদির অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতেই প্রাণ গিয়েছে ভাইয়ের। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে চাকদহ থানার পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে গণপিটুনিতে মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।