অর্ক দে, বর্ধমান: একদিকে বনদপ্তরের সীমানা। মাঝে রাস্তা। তারপরই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের লহর (পরিখা)। বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের সেই লহরের পাশের রাস্তা থেকে মঙ্গলবার উদ্ধার সদ্যোজাত কন্যাসন্তানের দেহ। কী করে সেখানে দেহটি এল? কে বা কারা তা ফেলে গেল? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সদ্যোজাতের দেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের লহরের পাশের রাস্তায় একটি ব্যাগ দেখতে পারেন পথচলতিরা। সন্দেহ হতে সেটি খুলতেই এক সদ্যোজাত কন্যাসন্তানের দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক অনুমান, সদ্যোজাতের বয়স দুই থেকে তিনদিন। দেহ উদ্ধারের পরই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তারা দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এই ঘটনার পর একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
স্থানীয়দের দাবি, এই রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। বাতিস্তম্ভ নষ্ট। সূর্য ডুবলেই অন্ধকারে ঢাকে রাস্তা। সেই সুযোগে অসমাজিক কার্যকলাপ চলে। পথচলতি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাস্তায় বাতিস্তম্ভ ঠিক করার পাশাপাশি সিসিটিভি লাগানোর ব্যবস্থা করা হোক।
তবে কারা এই রাস্তা ঠিক করবে তা নিয়ে টানাপোড়েন রয়েছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, নাকি পুরসভা দায়িত্ব কার? তা নিয়ে দোলাচল রয়েছেই। উল্লেখ্য, রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বিডিএ-র (বর্ধমান ডেভলপমেন্ট অথিরিটি) চেয়ারম্যান থাকাকালীন রাস্তাটি সারাইয়ের পাশাপাশি বাতিস্তম্ভ বসানো হয়। কিন্তু সেই শেষ। তারপর থেকে আর সাড়াই করা হয়নি। এই আবহে উদ্ধার সদ্যজাতের দেহ। যার ফলে তীব্র উত্তেজনা এলাকায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.