Advertisement
Advertisement

Breaking News

Honey Trap

রাজ্যে সক্রিয় Honey Trap! পর্দাফাঁস করতে মহিলা জঙ্গি তানিয়াকে হেফাজতে চাইছে এনআইএ

সেনাকর্মীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে গোপন তথ্য হাতিয়ে নিত তানিয়া।

NIA wants to take Tania Parveen, lady LeT terrorist under custody
Published by: Paramita Paul
  • Posted:June 12, 2020 4:40 pm
  • Updated:June 12, 2020 4:51 pm

অর্ণব আইচ:  দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে হানিট্র্যাপের খোঁজ মিলছে। সেই হানিট্র্যাপে (Honey Trap) ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে বাংলার যোগ। মনে করা হচ্ছে, রাজ্যেও সক্রিয় হানিট্র্যাপ। আর তাই বাদুড়িয়া থেকে ধৃত লস্কর-ই-তইবা (LeT) সদস্য তানিয়া পরভিনকে হেফাজতে নিতে চাইছে NIA। ইতিমধ্যে আবেদনও জানিয়েছে তাঁরা। প্রসঙ্গত, মার্চ মাসে বাদুড়িয়া থেকে রাজ্য এসটিএফ কলেজ পড়ুয়া মেধাবী তানিয়াকে গ্রেপ্তার করেছিল। 

তানিয়া আরবী ভাষায় নিয়ে কলকাতার এক কলেজে পড়াশোনা করত। ছোট থেকেই মেধাবী বলেই পরিচিত সে। আর সেই মেধাকেই হাতিয়ার করে লস্কর-ই-তইবা। তাদের কলকাতা মডিউলের সদস্য ছিল তানিয়া। একদিকে মেধাবী কলেজ পড়ুয়াদের মগজ ধোলাই করে দলে টানা, অন্যদিকে হানিট্র্যাপের মাধ্যমে সেনার তথ্য জোগার, দুটি কাজেই পারদর্শী ছিল বাদুড়িয়ার মেয়ে তানিয়া পরভিন। সম্প্রতি, রাজস্থানে একটি হানিট্র্যাপের পর্দাফাঁস হয়। তারপরই কোমর বেঁধে নেমেছে এনআইএ। সূত্রের খবর, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সেনা তথ্য হাতাতে এই পথই বেছে নিয়েছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। আর এই হানিট্র্যাপের অন্যতম দুঁদে সদস্য তানিয়া। তার গোপন কীর্তিকলাপ জানতে মরিয়া এনআইএ।

Advertisement

[আরও পড়ুন : হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জাতিবিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ, গ্রেপ্তার মালবাজারের বিজেপি নেতা]

কিন্তু কী এই হানিট্র্যাপ (Honey Trap)?

Advertisement

সেনা বা নিরাপত্তাকর্মীদের মন পেতে সুন্দরী মহিলাদের ব্যবহার করা হয়। ছলে-বলে-কৌশলে সেনা কর্তা বা জওয়ানদের নিজেদের প্রেমের জালে ফেলে ওই মহিলারা। এরপর প্রেমের কথায় ভুলিয়ে গোপন তথ্য হাতিয়ে নিতে থাকে তারা। আবার কখনও যৌন সম্পর্ক তৈরি করে সেই সূত্র ধরে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে ওই মহিলারা। ফলে সেনা বা পুলিশের গোপন তথ্য সহজেই সন্ত্রাসবাদিদের হাতে চলে আসে। আর এই কাজে পারদর্শী ছিল তানিয়া। কলকাতার এক সেনাকর্মী তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল বলেও খবর। দুজনের মধ্যে নিয়মিত ফোনে কথাও হত। আর সেই সূত্র ধরে কী কী তথ্য লস্করে হাতে পাচার হয়েছে, তা জানতেই এখন মরিয়া NIA।

[আরও পড়ুন :লকডাউনে স্বপ্ন ভেঙে চুরমার, সংসারের হাল ধরতে ফুচকা ফেরি করছে ‘ফার্স্ট বয়’]

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, মেধাবী ও কলেজ পড়ুয়া হওয়ার সুবাদে একাধিক জায়গায় অবাধে মেলামেশা ছিল তানিয়ার। অত্যন্ত টেকস্যাভিও ছিল সে। ফলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অন্যান্য কলেজ পড়ুয়াদের নিয়োগ করা ছিল জলভাত। ফলে তানিয়াকে হেফাজতে পেলে বহু অজানা তথ্যই সামনে চলে আসবে বলে মনে করছেন তদন্তকারী সংস্থা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ