Advertisement
Advertisement

Breaking News

নুসরত

‘ধর্মের দোহাই দিয়ে ভেদাভেদ মানি না’, ফতোয়া উড়িয়ে মন্তব্য নুসরতের

আমার ধর্ম আমাকে আল্লাহর নামে দোহাই দিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ নীতি শেখায়নি, মন্তব্য তৃণমূল সাংসদের।

Nusrat Jahan Ruhi Jain opens up after Mumslim cleric’s Fatwa issue
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:June 30, 2019 12:30 pm
  • Updated:June 30, 2019 12:30 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  “একজন হিন্দুকে বিয়ে করা মানে এই নয় যে আমি আমার মুসলিম সত্ত্বা বিসর্জন দিয়ে দিয়েছি। মুসলিম পরিবারে জন্মেছি। আর সেই আভিজাত্যই বজায় রেখে যাব। কিন্তু অন্য ধর্মকে সম্মান করাতে তো দোষের কিছু নেই! কেন ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি করা?”  প্রশ্ন তুলেছেন নুসরত জাহান রুহি জৈন। শুক্রবার তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি হওয়ার পর এমনই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূলের নবনির্বাচিত সাংসদ।

[আরও পড়ুন:  ‘পাকিস্তানের মতো ভারতে ফতোয়া চলে না’, নুসরতের পাশে বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী]

Advertisement

নুসরত জাহান রুহি জৈন৷ হ্যাঁ, নিখিল জৈনকে বিয়ে করার পর এটাই তাঁর নতুন নাম৷ নববধূর বেশে সংসদে হাজির হওয়ায় নুসরতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে ছিলেন মৌলবাদের ধ্বজাধারীরা। হিন্দু রীতি মেনে বিয়ে করেছেন নিখিল জৈনকে৷ ফলে, হিন্দু নারীর মতোই তাঁর সিঁথি রাঙিয়েছেন সিঁদুরে৷ হাতে চূড়া, মেহেন্দি, গলায় মঙ্গলসূত্র, গায়ে আচল জড়িয়ে শাড়ি পরিহিতা, এভাবেই নববধূর বেশে গত ২৫ জুন সংসদে উপস্থিত হয়েছিলেন বসিরহাট কেন্দ্রের নবনির্বাচিত তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান রুহি। মুসলিম ধর্মের অনুসারী হয়েও বিয়ে করেছেন একজন অমুসলিমকে।শপথবাক্য পাঠের পর তাঁর গলায় শোনা গিয়েছে‘জয়হিন্দ’,‘বন্দেমাতরম’। আর তাতেই ঘটে যত বিপত্তি। মৌলবাদীদের রোষানলে পড়তে হয়েছে নবনির্বাচিত তারকা সাংসদকে। দেওবন্দের ইমাম মুফতি কাসাম এবং মুফতি আসাদ ওয়াসিম এই বিষয়টিকে‘ইসলাম বিরোধী’বলে মন্তব্য করেছেন। নুসরতের বিরুদ্ধে আঘাত হানায় তীব্র প্রতিবাদ করে ধিক্কার জানিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, প্রজ্ঞা ঠাকুর এবং দেবশ্রী চৌধুরীর মতো একাধিক সাংসদরা। তৃণমূল সাংসদের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেসও।

Advertisement

[আরও পড়ুন:  মুসলিম নুসরতের কপালে কেন সিঁদুর, বিবাদে জড়ালেন মৌলবী ও সাধ্বী প্রাচী]

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় নুসরত বলেন, “হ্যাঁ, আমি মুসলিম। ধর্মনিরপেক্ষ দেশ ভারতের একজন নাগরিক। ভারতে সব ধর্মের মানুষ এবং সবরকম সংস্কৃতিকে সম্মান করা হয়। কেন ধর্ম এবং ভগবানের দোহাই দিয়ে মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করা হবে? আমার ধর্ম আমাকে আল্লাহর নামে দোহাই দিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ নীতি শেখায়নি। সিঁথিতে সিঁদুর পরা এবং বাংলায় শপথ বাক্য পাঠ করা পুরোপুরি সদিচ্ছায় করেছি। আমার মন যা চাইবে, আমি সেই পথেই চলব। ধর্মের নামে কেউ কোনও বাঁধা সৃষ্টি করলে, সেদিকে মোটেই কর্ণপাত করব না আমি! নব্য ভারতের অগ্রদূত মহিলাদের মতো নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি যথেষ্ট শিক্ষিত। তাই আমার জীবনে আমি কী করছি, কী করব পুরোপুরি আমার সিদ্ধান্ত। আমার ইচ্ছে।”    

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ