Advertisement
Advertisement
ব্র্যান্ড নেম দেওয়ার ভাবনা পূর্ব বর্ধমানে

বিপণনে জোর, পূর্ব বর্ধমানের সমস্ত হস্তশিল্প সামগ্রীকে ব্র্যান্ড নেম দেওয়ার পরিকল্পনা

ওই সব সামগ্রীর ট্রেডমার্ক বা কপিরাইটেও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

One brand name will be given to all handcraft products in East Burdwan.
Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 30, 2020 9:09 pm
  • Updated:January 30, 2020 9:09 pm

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: শক্তিগড়ের ল্যাংচা। বর্ধমানের সীতাভোগ, মিহিদানা। মিষ্টান্নের পাশাপাশি, খণ্ডঘোষের ফেজটুপি বা পূর্বস্থলীর নতুনগ্রামের কাঠের পুতুলের জগৎজোড়া নাম রয়েছে। আবার আউশগ্রামের ভেদিয়া, কেতুগ্রামের কাঁথাস্টিচ, কালনা-পূর্বস্থলীর তাঁতবস্ত্র, দরিয়াপুরের ডোকরা শিল্পও বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। কিন্তু বিপণনের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড নেম একটা ফ্যাক্টর আধুনিক জগতে। সেটা থাকলে বিপণন ব্যবস্থা কয়েকধাপ এগিয়ে যেতে পারে।

পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন এই সব হস্তশিল্প সামগ্রী বা মিষ্টান্নকে ব্র্যান্ড নেম দিয়ে বাজারজাত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে এক ছাতার তলায় এনে একই ব্র্যান্ড নেম-দিয়ে বাজারজাত করানোর ভাবনা জেলা প্রশাসনের। পাশাপাশি, জিজিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) রেজিস্ট্রেশন, ট্রেডমার্ক করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা শাসক বিজয় ভারতী জানান, জেলার হস্তশিল্প, কুটিরশিল্প ও মিষ্টান্নর একটা ব্র্যান্ড থাকা প্রয়োজন। তাঁর কথায়, “এই সব সামগ্রীর বিপণনে ব্র্যান্ডিং, প্যাকেজিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য সামগ্রীর ক্ষেত্রে ভ্যাকুউম সিলিং ও ফুড সেফটিও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই দিকগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছি। ব্র্যান্ড নেম চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন : আদালতের নির্দেশে সংশোধনাগারেই বসল আসর, নির্যাতিতাকে বিয়ে অভিযুক্ত যুবকের]

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, একটা সাধারণ নামে সবকিছু সামগ্রীর বিপণন ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কুটির, হস্তশিল্প ও মিষ্টান্নর ক্ষেত্রে কুটির বর্ধমান ব্র্যান্ড নেম-এর কথা ঠিক করা হয়েছে। এই নাম চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে ওই নামেই সবকিছু বাজারজাত করা হবে। না হলে বিকল্প নামও ভাবা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের সীতাভোগ-মিহিদানা ইতিমধ্যে জিআই রেজিস্ট্রেশন পেয়েছে। গোবিন্দভোগ চালও পেয়েছে। ল্যাংচার জিআই রেজিস্ট্রেশন পেতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খণ্ডঘোষের ফেজটুপি বিদেশেও রপ্তানি হয়। বিশেষ করে আরবের দেশগুলিতে। সেই টুপির জিআই রেজিস্ট্রেশন করানোর ব্যাপারে প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। কাঁথাস্টিচ, কাঠের পুতুল, ডোকরা শিল্পের ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়া নেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : হুগলি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছি’, সুইসাইড নোট লিখে নিখোঁজ ছাত্র]

জিআই তকমার পাশাপাশি, ওই সব সামগ্রীর ট্রেডমার্ক বা কপিরাইট করানোরও ভাবনা রয়েছে জেলা প্রশাসনের। তার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা শাসক। একইসঙ্গে ওই সব সামগ্রীর ব্র্যান্ড নেম করতে গেলে যা যা করণীয় তারও নির্দেশ দিয়েছেন জেলা শাসক। প্রশাসনের লক্ষ্য গুণমান উন্নত করা ও তা ব্র্যান্ড নেমে বাজারজাত করার ব্যবস্থা করে হস্তশিল্পী, কুটিরশিল্পী ও মিষ্টান্ন শিল্পীদের আয়ের ব্যবস্থা করা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ