Advertisement
Advertisement
আউটডোর বন্ধ

চিকিৎসকদের বিক্ষোভে ১২ ঘণ্টা বন্ধ হাসপাতালের আউটডোর, চূড়ান্ত ভোগান্তি রোগীদের

কেবলমাত্র খোলা থাকছে জরুরি বিভাগ৷

OPD of Govt and Private hospitals closed for 12 hours today
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 12, 2019 9:05 am
  • Updated:June 12, 2019 11:31 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় আজ অর্থাৎ বুধবার এক বড়সড় দুর্ভোগের দিন হতে চলেছে৷ চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে রোগীমৃত্যু এবং মৃতের পরিবারের হাতে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকের হেনস্তা, গুরুতর জখম হওয়ার ঘটনা ঘিরে আপাতত উত্তপ্ত রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা৷ তার প্রতিবাদেই বুধবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করছেন সমস্ত সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা৷ পুরোপুরি বন্ধ থাকছে আউটডোর পরিষেবা৷ হবে না কোনও অপারেশনও৷ কেবলমাত্র খোলা থাকছে জরুরি বিভাগ৷ এবং যার জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে পড়চে চলেছেন রোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা৷

[আরও পড়ুন: ‘সুচিত্রা সেনকে আর অপমান করবেন না’, বাবুলের নিশানায় তৃণমূল]

সপ্তাহের প্রায় ছ’দিনই রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে রোগীর চাপ থাকে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল একেবারে আমূল বদলে যাওয়ার পর থেকে নিম্নমধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির রোগীরা সরকারি পরিষেবা নিতেই আগ্রহী৷ তবে বুধবার সরকারি হোক বা বেসরকারি, কোথাও আউটডোরে কোনও পরিষেবা মিলবে না৷ শুধু খোলা থাকছে জরুরি বিভাগ৷ যার ফলে রোগীর এবং তার পরিবারের সদস্যদের চরম অব্যবস্থার মধ্যে পড়তে হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

Advertisement

সোমবার রাতে এনআরএসে রোগীমৃত্যুর পর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে ব্যাপক মারধর করা হয়৷ অভিযোগের তিরে মৃত রোগীর পরিবারের সদস্যরা৷ ডোমজুড়ের বাসিন্দা পরিবহ ইটের আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সে আপাতত চিকিৎসাধীন৷ তাঁর মাথার আঘাত এতই বেশি ছিল যে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে অপারেশন করা হয়েছে৷ নাইলে তাঁর জীবন সংশয় হতে পারত বলে আশঙ্কা ছিল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের৷ অপারেশন পর তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল হলেও, পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে৷ ঘটনার পর রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিরাপদ নয়, এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার দিনভর দফায় দফায় কর্মবিরতি করে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা৷ বুধবার আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়ে সমস্ত আউটডোর পরিষেবাই বন্ধ করতে চলেছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: সদ্য যোগ দেওয়া কর্মীদের লাঠি-বাঁশ রাখার পরামর্শ বীরভূমের বিজেপি নেতার]

রোগীর পরিবারের হাতে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা নতুন কিছু নয় এ রাজ্যে৷ তবে তার জেরে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের জীবন সংশয়ের বিষয়টিই আগুনে ঘি ঢেলেছে৷ প্রতিবাদ এতটাই চরমে উঠেছে যে নিরাপত্তার দাবিতে অর্ধদিবস পরিষেবাই দেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা৷নিঃসন্দেহে তাঁদের এই সিদ্ধান্তের জেরে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হবেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ৷ সকাল থেকেই হাসপাতালে গিয়ে শূন্য হাতে ফিরছেন রোগীরা৷ বিভিন্ন হাসপাতালের আউটডোর গেট রীতিমত তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে৷ মিলছে জরুরি পরিষেবা৷ কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ভিড় বাড়বে এবং তখন কীভাবে তা সামাল দেওয়া যাবে, সেই আশঙ্কাই ভাবাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলিকে৷ 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ