Advertisement
Advertisement

Breaking News

jumped to death

আর জি কর কাণ্ডের ছায়া রামপুরহাটে, হাসপাতালের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী রোগী

কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ।

Patient jumped to death from hospital roof in Birbhum | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 6, 2022 3:16 pm
  • Updated:March 6, 2022 4:13 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: আর জি কর কাণ্ডের ছায়া রামপুরহাট মেডিক্যালে (Rampurhat Medical College and Hospital)। হাসপাতালের পাঁচতলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক রোগী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার দুপুরে বীরভূমের রামপুরহাট হাসপাতাল চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে হাসপাতাল চত্বরে ভাঙচুর চালায় রোগীর পরিবার।

মৃতের নাম মহম্মদ বিন (৩৫)। বীরভূমের মারগ্রাম থানার কোড়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, গত শুক্রবার পারিবারিক অশান্তির জেরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মহম্মদ। তার পর থেকেই রামপুরহাট হাসপাতালে ভরতি ছিলেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সুখবর! বইমেলায় অংশ নেওয়া সব স্টলের ট্রেড লাইসেন্স ফি মকুবের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর]

মৃতের স্ত্রী রেকিবা বিবি জানিয়েছেন, মহম্মদ হাসপাতালের পুরুষ বিভাগে ভরতি ছিলেন। তাই পরিবারের কোনও মহিলা সদস্যকে হাসপাতালে থাকতে দেওয়া হয়নি। শনিবার দুপুরে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে এলে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে তাঁদের এক পুরুষ আত্মীয় হাসপাতালে আসেন। তিনি হাসপাতালে ঢুকেও মহম্মদকে দেখতে পাননি। কিন্তু হাসপাতাল জানায়, নিজের বেডেই ছিলেন মহম্মদ। রবিবার সকালেও মহম্মদের খবর নিতে হাসপাতালে এসেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তখন কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement
Rampurhat
রামপুরহাট হাসপাতালে উত্তেজনা। ছবি: সুশান্ত পাল।

খবর পাওয়া মাত্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা হাসপাতালে এমএসভিপি এবং সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ছোটেন। রবিবার হওয়ায় দু’ জনের কেউই হাসপাতালে ছিলেন না। বদলে ওয়ার্ড মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মহম্মদের পরিবারের সদস্যরা।

এদিকে রামপুরহাট হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার সুখদেব ভান্ডারী জানিয়েছেন, এক অজ্ঞাত পরিচয় রোগী হাসপাতালের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে বিস্তারিত জানতে ওই ওয়ার্ডের দিকে যাচ্ছিলাম। পুলিশেও খবর দিয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই পরিবারের সদস্যরা আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণপ্রহার করে। হাসপাতালে প্রবেশ পথেও ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মারধর এবং ভাঙচুরের ঘটনায় ৬-৭ জনকে আটক করে রাখা হয়েছে। 

[আরও পড়ুন: তুমুল অশান্তির মাঝেও IMA’র নির্বাচনে জয়ী নির্মল মাজি, কারচুপির অভিযোগ বিরোধীদের]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ