Advertisement
Advertisement

Breaking News

সাগর চন্দ

শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে মেধাতালিকায় স্থান বর্ধমানের সাগরের

এই প্রথম মেধা তালিকায় উঠল বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন কোনও পড়ুয়ার নাম।

Physically handicapped Sagar Chanda for the took place in HS merit list
Published by: Tanujit Das
  • Posted:May 27, 2019 9:28 pm
  • Updated:May 27, 2019 9:54 pm

স্টাফ রিপোর্টার, বর্ধমান: মেধাতালিকাতেও ব্রাজিলের ছাপ। যেমন বিকলাঙ্গ পা নিয়ে সাফল্য এনেছিল ব্রাজিলের গ্যারিঞ্চা। সেই ঢংয়েই কৃত্রিম পা নিয়ে সাফল্য ছিনিয়ে আনল সাগর। স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারে না বর্ধমানের কৃতী। ডান পাটা অত্যাধিক ছোট বলে বিশেষ জুতো পরেই স্কুলে যেত সে। হাঁটার গতি কম বলে অনেক আগেই তাকে বাড়ি থেকে বেরতে হত। তবে শ্লথ গতিতেই বাজিমাত করল বর্ধমানের গোপালপুরের সাগর চন্দ। তার হাত ধরেই এই প্রথম মেধা তালিকায় উঠল বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন কোনও পড়ুয়ার নাম। মেধাতালিকায় দশম স্থানে জ্বলজ্বল করছে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের সাগর চন্দের নাম।

[ আরও পড়ুন: অভাব বাড়াল জেদ, অলচিকি ভাষায় উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম কৃষক পরিবারের সন্তান ]

Advertisement

সাগরের মা জানিয়েছে, জন্ম থেকেই ছেলের ডান পায়ে ত্রুটি। ন’বছর বয়সে লাগানো হয়েছিল কৃত্রিম পা। কিন্তু প্রতিবন্ধকতাকে আদৌ আমল দেয়নি সাগর। ছোট থেকেই যত্নের সঙ্গে লেখাপড়া চালিয়ে গিয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন পরীক্ষার্থী হিসাবে রাজ্যে প্রথম হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই কৃতী। সার্বিকভাবে রাজ্যের মধ্যে দশম সাগর চন্দের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮। বাবার নাম তাপসকুমার চন্দ। পেশায় রেলকর্মী। মা জয়শ্রী চন্দ গৃহবধূ। ভবিষ্যতে রসায়ন নিয়ে গবেষণাতেই ডুব দিতে চায় এই কৃতী। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে পড়ার সুযোগ পেয়েছে সাগর। পাশাপাশি জয়েন্ট-সহ আরও কতগুলি প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও বসেছে সে। পড়াশোনায় সে বরাবরই ভাল। মাধ্যমিকে প্রথম দশে না থাকলেও প্রথম কুড়িতে ছিল সাগর। প্রতিবন্ধকতার কারণে খেলাধুলা করা হয়নি তাঁর। নিজে সেভাবে খেলতে না পারলেও টিভিতে ক্রিকেট দেখতে খুব ভালবাসে এই কৃতী। বিরাট কোহলি তার প্রিয় ক্রিকেটার। এবছর বিশ্বকাপ ক্রিকেট দেখার জন্য মুখিয়ে আছে সাগর। সেইসঙ্গে গোয়েন্দা গল্পও তার খুব প্রিয়।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: বেহাল পরিকাঠামো নিয়েই সাফল্য, সরকারি স্কুলে পড়ে মেধাতালিকায় পুরুলিয়ার কন্যা ]

দিনে নিয়ম করে ৯ ঘণ্টা পড়াশোনার পাশাপাশি বই পড়তেও খুব ভালবাসে সাগর। ফেলুদা ও ব্যোমকেশ বক্সি সাগরের প্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র। ছেলের এই নজরকাড়া সাফলে খুশি তাপসবাবুর প্রতিক্রিয়া, “ছোট থেকে খুব কষ্ট করে পড়াশোনা করেছে ও। পায়ের সমস্যা নিয়েও লড়াই করে গিয়েছে। আমরা যতটা পেরেছি ছেলেকে সহযোগিতা করেছি। আজ আমাদের পরিশ্রম ও ছেলের অধ্যাবসায়ের গুণে এই সাফল্য।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ