Advertisement
Advertisement
টিকিয়াপাড়া

টিকিয়াপাড়ায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় জারি ধরপাকড়, গ্রেপ্তার আরও ১

মূল অভিযুক্তরা এখনও এলাকাতেই রয়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।

Police arrested one person in Tikiyapara police hackled case

ফাইল ফটো

Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 2, 2020 11:07 am
  • Updated:May 2, 2020 11:09 am

অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: টিকিয়াপাড়ায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও এক অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম সাকির। সে টিকিয়াপাড়া এলাকারই বাসিন্দা। এই ঘটনায় শুক্রবার আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জেরা করেই সাকিরের খোঁজ পায় পুলিশ। শনিবার আদালতে তোলা হবে তাকে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ধৃতকে জেরা করতে চায় পুলিশ।

গত মঙ্গলবার বিকেলে টিকিয়াপাড়ার বেলিলিয়াস রোডে পুলিশের টহলদারি চলছিল। তখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু আচমকা প্রচুর মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। লকডাউন না মেনে রাস্তায় ভিড় করেন। তখনই লকডাউন কার্যকর করতে ভিড় সরাতে গেলে আক্রান্ত হয় পুলিশ। পুলিশের ২টি গাড়ি ভাঙচুর করা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও বোতল ছোঁড়া হয়। দু’জন পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ ও র‌্যাফ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। পরে রাতেই রাজ্য পুলিশের তরফে টুইট করে জানানো হয় যে অভিযুক্তরা শাস্তি পাবেই। রাত থেকেই এলাকায় শুরু হয় ধরপাকড়।

Advertisement

শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর গভীর রাতে টিকিয়াপাড়া থেকে সাকির নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। টিকিয়াপাড়ায় পুলিশের উপর নিগ্রহের ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, হামলার ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল সাকিরকে। এমনকী পুলিশকে হামলাকারীর লাথি মারার যে ছবি ভাইরাল হয়েছিল, তাতে নাকি দেখা গিয়েছিল সাকিরকেই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এবার করোনা আক্রান্ত উত্তরবঙ্গে পাঠানো মেডিক্যাল টিমের চিকিৎসক]

এদিকে টিকিয়াপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশকে আক্রমণে মূল অভিযুক্তরা বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অধরা ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, প্রথমে যে ১০ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তারা কেউ ডালপুরি কিনতে যাচ্ছিল। তো কেউ আবার মাছের বাজারে যাচ্ছিল। ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা সেই যুবকদেরই পুলিশ বিনা অপরাধে তুলে নিয়ে গিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া মামলা রুজু করেছে। অথচ মূল অভিযুক্তরা এখনও এলাকাতেই রয়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।

[আরও পড়ুন: লকডাউনে প্রিয়জনকে শেষ দেখার উপায় নেই? ভরসা রাখুন এই অ্যাপে

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ