বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: শোরুম থেকে একের পর এক ঝাঁ-চকচকে বাইক উধাও৷ জলের দরে নতুন নতুন মডেলের বাইক কেনাবেচা হয়েছে। এভাবেই বাইশটি বাইক বিক্রির পর অবশেষে অভিযুক্তের খোঁজ পেল পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায়। তবে পুলিশের তৎপরতায় পাচার হওয়া বাইকের অধিকাংশই উদ্ধার হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পারিবারিক অশান্তির জের, স্ত্রীকে খুনের চেষ্টার পর আত্মঘাতী স্বামী]
বাইকের কাগজপত্র নিয়ে বরাবরই কড়া পুলিশ-প্রশাসন। প্রতিনিয়ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলে তল্লাশি। তার মূল কারণ, দুর্ঘটনা রোধ। বেপরোয়া গতিতে রাশ টানতে কিছুটা হলেও কার্যকরী হয়েছে পুলিশের তল্লাশি। তবে পুলিশ প্রশাসনের সেই সাধু উদ্যোগে যে এমন একটা অপরাধ ধরা পড়বে, তা ভাবেননি খোদ পুলিশ কর্মীরাই। জানা গিয়েছে, তল্লাশি চালাতে গিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই পুলিশের হাতে আসে কাগজপত্র ও নম্বরপ্লেট বিহীন বেশ কিছু মোটরবাইক। সন্দেহ হওয়ায় শুরু হয় তদন্ত। উঠে আসে কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানা এলাকার একটি বাইক শোরুমের নাম। সেই শোরুমের ম্যানেজারকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাতেই সামনে এল প্রকৃত ঘটনা৷
ওই শোরুমের ম্যানেজার বাপ্পা তরফদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই রহস্যভেদ করল পুলিশ। ওই যুবক জানিয়েছেন, যে কোনও মডেলের যে কোনও দামের বাইক মাত্র ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বেআইনিভাবে বিক্রি করত ওই ম্যানেজার। সেইসব বাইকের কোনও রেজিস্ট্রেশনও হত না। ফলে গোটা টাকাটাই তার মুনাফা। জানা গিয়েছে, এই পর্যন্ত শোরুমের মোট ২২ টি বাইক বিক্রি করেছিল বাপ্পা। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ইতিমধ্যেই অধিকাংশ বাইক উদ্ধার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় অভিযুক্ত যুবক জানিয়েছেন, শোরুম কর্তৃপক্ষ তাঁকে চুক্তি অনুযায়ী বেতন দিত না। সেই কারণে সাংসারিক চাপে এই কাজ করেছে সে। যদিও তাঁর কথায় আদৌ কোনও ভিত্তি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তবে শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শোরুম মালিকের তরফে এখনও থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.