বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: রাত পোহালেই নদিয়ার দুটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। রানাঘাট কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পে রবিবার রাসায়নিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক ভোটকর্মী। রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভরতি তিনি। কিন্তু কেন আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন ওই ভোটকর্মী, ধন্দে প্রশাসনিক কর্তারা।
[আরও পড়ুন: বিজেপির প্রচারে ‘মার্কিন নাগরিক’ খালি, কমিশনে নালিশ তৃণমূলের]
নদিয়ারই কল্যাণীতে বাড়ি সুদর্শন বাসফোরের। কল্যাণীর আইটিআই কলেজে চাকরি করেন তিনি। সরকারি কর্মী হওয়ার সুবাদে ভোটে ডিউটি পড়েছিল সুদর্শনের। সোমবার সকালে রানাঘাট কলেজে অস্থায়ী ক্যাম্পে জড়ো হয়েছিলেন ভোটকর্মীরা। খোদ মহকুমাশাসকের তত্ত্বাবধানে ভোটকর্মীদের ইভিএম-সহ অন্যান্য সরঞ্জাম বিতরণের কাজ চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ব্যাগে রাসায়নিক নিয়ে রানাঘাট কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পে গিয়েছিলেন সুদর্শন। মহকুমা শাসকের সামনেই রাসায়নিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে যান সকলেই। তড়িঘড়ি ওই ভোটকর্মীকে নিয়ে যাওয়া হয় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে সুদর্শন বাসফোরের। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
কিন্তু, রানাঘাট কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পে কেন আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন ভোটকর্মী সুদর্শন বাসফোর? তা এখনও স্পষ্ট নয়। রানাঘাটের মহকুমা শাসক মণীশ বর্মা বলেন, ‘‘কেন এমন কাজ করলেন, বুঝতে পারছি না। ওঁনার বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে।’’ এবার রাজ্যে লোকসভা ভোট শুরু হওয়ার আগে ভোটকর্মীদের অসন্তোষ চরমে পৌঁছায়। প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। ২৩ তারিখ তৃতীয় দফায় ভোটের দিন দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে আত্মহত্যা করেছিলেন এক ভোটকর্মী। সেদিনই ভোট ছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রেও।
ছবি: সুজিত মণ্ডল