Advertisement
Advertisement

Breaking News

অন্তঃসত্ত্বা

বিজ্ঞাপনের জন্য পঞ্চব্যঞ্জন সহকারে ছবি, পরে অন্তঃসত্ত্বাকে দেওয়া হল স্রেফ ডিমভাত

কাঠগড়ায় নদিয়া জেলা প্রশাসন।

Pregnant woman clicked with 'nutritious food', gets none
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 29, 2019 5:50 pm
  • Updated:July 29, 2019 5:50 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি বিজ্ঞাপনের জন্য পঞ্চব্যঞ্জন সহকারে ছবি তোলানো হয়েছিল এক অন্তঃসত্ত্বাকে দিয়ে। কিন্তু ছবি তোলার কাজ মিটতেই তাঁর মুখের সামনে থেকে সরিয়ে নেওয়া হল সেই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবারের থালা। তার বদলে মিলল স্রেফ ডিমভাত। যা অঙ্গনওয়াড়ির শিশুদের দেওয়া হয়। নদিয়ার শান্তিপুরের গোস্বামীপাড়ার এই ঘটনায় রীতিমতো বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ওই মহিলার আক্ষেপ, এভাবে মুখের সামনে থেকে খাবার সরিয়ে নিয়ে তাঁকে অপমান করা হয়েছে। মহিলার স্বামীও বিষয়টিকে চরম অপমানজনক বলে মনে করছেন।

[আরও পড়ুন: চিকিৎসায় গাফিলতিতে শিশুমৃত্যুর অভিযোগ, কাঠগড়ায় কোচবিহারের সরকারি হাসপাতাল]

মূল ঘটনাটি গত শুক্রবারের। শান্তিপুরের গোস্বামীপাড়ার এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল মৌমিতা সাধুখাঁ নামের এক অন্তঃসত্বা মহিলাকে। শুক্রবার ছিল সুপুষ্টি দিবস। সেই উপলক্ষে সরকারি বিজ্ঞাপনের জন্য ওই মহিলার ছবি তোলা হয়। অভিযোগ, প্রথমে তাঁর সামনে অনেক রকমের ভাজাভুজি, তরি-তরকারি দিয়ে সুসজ্জিত খাবারের থালা রাখা হয়। খাবার-সমেত ফটোও তোলা হয় মৌমিতার। তারপর তাঁর সামনে থেকে তা তুলে নিয়ে শুধুমাত্র ডিমের ঝোল ভাত খেতে দেন আইসিডিএস কর্মীরা। এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক। ঘটনায় মারাত্মক রেগে যান মৌমিতা ও তাঁর স্বামী বিশ্বজিৎ সাধুখাঁ। বিশ্বজিৎ শান্তিপুর শিশু কল্যাণ প্রকল্প আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানান। কিন্তু, তাতেও কোনও লাভ হয়নি। উলটে জেলা প্রশাসনও আইসিডিএস কর্মীদের পাশেই দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এবিভিপি-টিএমসিপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মধ্যমগ্রামের এপিসি কলেজ, সাময়িক বন্ধ যান চলাচল]

জেলা প্রশাসনের সাফাই, “আসলে ওই পঞ্জব্যঞ্জন সাজানো হয়েছিল স্রেফ দেখনদারির জন্য, অন্তঃসত্ত্বা মহিলার জন্য বরাদ্দ ছিল ডিম ভাতই। সেইমতোই, ওই মহিলাকে অঙ্গনওয়াড়ির খাবার দেওয়া হয়েছে। আসলে অন্তঃসত্বাদের কেমন খাবার খাওয়া উচিত তো বোঝানোর জন্যই ওই ছবি তোলা হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে, তাই যদি হয় তাহলে ওই মহিলাকে অমন থালাভরতি সুস্বাদু খাবারের সামনে বসিয়ে ছবিই বা কেন তোলানো হল? আর ছবিই যখন তোলানো হল, তাহলে ওই মহিলাকে সেদিনের মতো ভাল খাবার খাওয়ালেই বা সরকারের কী এমন বেশি খরচ হত?

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ