সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুচ কাণ্ড থেকে দূরত্ব রাখতে মরিয়া চেষ্টা ধৃত সনাতন ঠাকুরের। নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে সনাতনের বক্তব্য, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত তার পুত্রবধূ। মৃত শিশুর মা মঙ্গলাকে সে বিয়ে করেছে বলেও জানায় সনাতন। মঙ্গলবার গভীর রাতে তাকে আনা হয় আসানসোলে। সেখান থেকে পুরুলিয়া এনে একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে তোলা হবে।
অপরাধী জালে। এবার অপরাধের কিনারা করার পালা। উত্তরপ্রদেশ পিপড়ি থেকে ধৃত সনাতন ঠাকুরকে মঙ্গলবার গভীর রাতে শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস করে এ রাজ্যে আনা হয়। রাত দেড়টা নাগাদ আসানসোলে নামে সনাতন। সেখানে তৈরি ছিলেন পুরুলিয়ার মফঃস্বল থানার চারজন পুলিশকর্মী। কড়া নিরাপত্তায় সুচ কাণ্ডে ধৃত সনাতনকে আনা হয় পুরুলিয়ায়। নিতুড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ভোর রাতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মফঃস্বল থানায়। এই থানা এলাকাতেই সনাতনের বাড়ি। থানাতে একপ্রস্থ জিজ্ঞাসবাদের আগে সাংবাদিকের সামনে নিজেকে নিরাপরাধ প্রমাণে ব্যস্ত ছিল সনাতন। জানায়, সে সুচ ফোটায়নি, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। এই ঘটনার দায় পুত্রবধূর। তার কোনও দোষ নেই। মৃত স্ত্রীর মা মঙ্গলা গোস্বামী স্বামী পরিত্যক্তা ছিলেন। সনাতন জানায় সে মঙ্গলাকে বিয়ে করেছে।
নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চাইলেও, তদন্তকারীরা কার্যত নিশ্চিত এই ঘৃণ্য অপরাধে সনাতনের হাত রয়েছে। ঘটনায় ধৃত মৃত শিশুর মা মঙ্গলা গোস্বামী জেল হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সুচ ফোটানার বিষয়ে মঙ্গলার কী ভূমিকা ছিল তা জানতে দু’জনকে একসঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন বেলায় সনাতনকে পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হবে। বিক্ষোভের আশঙ্কায় আদালত চত্বরে পুলিশি প্রহরা বাড়ানো হয়েছে। সনাতনকে কালো কাপড়ে বেধে নিয়ে যাওয়া হয়। গত কয়েক দিন ধরে এই তান্ত্রিকের শাস্তির দাবিতে মিছিল হয়েছে পুরুলিয়ার। পুলিশ সূত্রে খবর, যে কোনও সময় হামলার মুখে পড়তে পারে সনাতন। এই আশঙ্কায় আদালত চত্বরে নিরাপত্তা বেড়েছে কয়েক গুন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.