Advertisement
Advertisement

Breaking News

রোদ্দুর রায়ের রবীন্দ্রসংগীত

শান্তিনিকেতনের নন্দন মেলায় রোদ্দুর রায়, বিকৃত রবীন্দ্রসংগীত ঘিরে প্রবল বিতর্ক

ঘটনায় বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরাই জড়িত কি না, খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ।

Rabindrasangeet distorted at Nandan Mela, Shantiniketan creates controversy
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 2, 2019 4:48 pm
  • Updated:December 3, 2019 8:44 am

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: শান্তিনিকেতনে চলছে নন্দন মেলা। বঙ্গ সংস্কৃতির পীঠস্থান সেই চত্বরেই বিকৃত সুরে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন! রবিবার এই ঘটনা ঘিরে তুমুল বিতর্কের মুখে পড়ল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
রবিবার সন্ধেবেলা কলাভবন চত্বরে নন্দন মেলায় কয়েকজন তারস্বরে গেয়ে ওঠেন বিখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত – “সেদিন দুজনে, দুলেছিনু বনে”। এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু বিখ্যাত এই গানের সুর বদলে, তাতে নিজেদের মতো কথা বসিয়ে গাওয়াতেই বিতর্ক দানা বাঁধে। রবীন্দ্রসংগীতের মধ্যে দিয়ে উঠে আসে বিশ্বভারতীর ফি বৃদ্ধি নিয়ে কটাক্ষ। রবিবার সন্ধেবেলার সেই গান ভাইরাল হতেই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন রবীন্দ্রপ্রেমী এবং শান্তিনিকেতনের সাধারণ নাগরিক। এই বিষয়ে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার কিছুটা দায় এড়য়ে বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে কী হয়েছে।’

[ আরও পড়ুন: তৃণমূলে ফিরতে চান মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু! যোগাযোগ করছেন আরও ৩ বিধায়ক]

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় রোদ্দুর রায় নামে এক ব্যক্তির বিকৃত সুরে গাওয়া রবীন্দ্রসংগীত “সেদিন দুজনে… চাঁদ উঠেছিল গগনে” ভাইরাল হয়েছে। একইসঙ্গে কবিগুরুর গানকে এভাবে উপস্থাপিত করায় এই গান নিয়ে প্রবল ক্ষোভ উগরে দিয়েছে নেটিজেনদের একাংশ।কলকাতার রবীন্দ্র সদন চত্বরে এই নিয়ে প্রতিবাদ হয়ে গিয়েছে।
রবিবার কলাভবনে নন্দন মেলায় রোদ্দুর রায়ের কায়দায় জনা কয়েক যুবক-যুবতী তাঁর মতো করেই গানটি গেয়ে ওঠেন। সেখানে গানের কথার পরিবর্তন করে বিশ্বভারতীর কতৃপক্ষের ফি বৃদ্ধির কথাও উঠে আসে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: দাবি মতো পণ না মেলায় পাত্রীকে ‘লাথি’, বিয়ের আসরে তাণ্ডব চালাল পাত্রপক্ষ]

কিন্তু এঁরা বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী কি না, তা নিশ্চিত করে জানতে পারেনি বিশ্বভারতীয় কর্তৃপক্ষ। তবে কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানে এভাবে তাঁর গান গাওয়াকে ‘অপসংস্কৃতি’ বলেই মনে করছেন বিশ্বভারতীর কর্মী, অধ্যাপক, ছাত্রছাত্রী, আশ্রমিক এবং প্রাক্তনীদের বেশিরভাগ। ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, ”এটা চরম কুরুচির পরিচয় বলে মনে করি। শান্তিনিকেতনের নন্দন মেলায় এই ধরনের গান কেউ
গাইতে পারে, ভাবতেই পারছি না।”

Advertisement

দেখুন ভিডিও:

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ