তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়া অবস্থায় রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হল দূর্লভ মৃগনাভি! বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি পুর এলাকার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত সুভাষপল্লির সংশোধনাগার সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনার খবর পেতেই বনদপ্তরের বৈকুন্ঠপুর বিভাগের অধীন ডাবগ্রাম রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেসব বাজেয়াপ্ত করে। তবে উদ্ধার হওয়া বস্তুগুলি কি সত্যিই মৃগনাভি? তা নিয়ে অবশ্য ধন্দে খোদ বনকর্মীরা।
বনদপ্তর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে সংশোধনাগার সংলগ্ন এলাকায় পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের প্যাকেট ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। সেই খবর পৌঁছতেই প্রথমে পুলিশ এলাকায় যায়। বন্যপ্রাণীর দেহাংশ সন্দেহ হওয়ার পরেই খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরকে। বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেসব বাজেয়াপ্ত করে। এদিকে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছোনোর আগেই সেখানেই পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলর অভয়া বসু। তিনি বলেন, “কয়েকজনের নজরে আসে ওই প্যাকেটটি। মনে করা হচ্ছে সেসব মৃগনাভি। বনকর্মীরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন।”
[আরও পড়ুন: দেশজুড়ে সাড়া ফেলল অভিষেকের নন্দীগ্রাম যাত্রা, টুইটার ট্রেন্ডের শীর্ষে #NandigrameJonoJowar]
ডাবগ্রাম রেঞ্জের তরফে খবর, ওই প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোট ৩৩টি মৃগনাভির মতো বস্তু ছিল। তবে সঠিক কি তা এখনই নিশ্চিত বলা সম্ভব নয়। এক বনকর্মীর কথায়, মৃগনাভি হলে সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ার কথা এলাকাজুড়ে। কিন্তু সেভাবে সুগন্ধ মেলেনি উদ্ধার হওয়া বস্তুগুলি থেকে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষেই জানা যাবে সেগুলি আসলে কী।
এবিষয়ে ডাবগ্রাম রেঞ্জের আধিকারিক শ্যামাপ্রসাদ চাকলাদার বলেন, “ঘটনার খবর পেতেই বনকর্মীরা সেখানে পৌঁছয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় প্যাকেটটি। প্যাকেটে থাকা বস্তুগুলি আসলে মৃগনাভি কিনা সেবিষয়ে নিশ্চিত হতে জ্যুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াতে পাঠানো হবে। এছাড়াও এই ঘটনায় কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।”
[আরও পড়ুন: বন্ধের মুখে উচ্চমাধ্যমিক ষষ্ঠ রূপসা উপাধ্যায়ের স্কুল, ‘নেপথ্য সিপিএম’, দাবি তৃণমূল-বিজেপির]
সব খবরের আপডেট পান সংবাদ প্রতিদিন-এ
Highlights
- পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়া অবস্থায় রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হল দূর্লভ মৃগনাভি!
- বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি পুর এলাকার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত সুভাষপল্লির সংশোধনাগার সংলগ্ন এলাকায়।
- ঘটনার খবর পেতেই বনদপ্তরের বৈকুন্ঠপুর বিভাগের অধীন ডাবগ্রাম রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেসব বাজেয়াপ্ত করে।