Advertisement
Advertisement
BJP

পাহাড়ে বিজেপির চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘সেফটিপিন’ ও ‘ডোর বেল’, কোন আশঙ্কায় গেরুয়া শিবির?

এবার দার্জিলিং লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন ১৪ জন।

Rebel MLA turns on BJP, Lok Sabha scare for saffron brigade in the hills
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:April 9, 2024 9:06 pm
  • Updated:April 9, 2024 9:06 pm

বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য ও ধনরাজ তামাং: পাহাড়ে বিজেপির দুই পথের কাঁটা রয়েই গেল। বিমল গুরুংয়ে ভরসা রেখেও মসৃণ হল না গেরুয়া শিবিরের রাস্তা। ওই দুই কাঁটা আদতে দুজন নির্দল প্রার্থী। তাঁদের একজন কার্শিয়াংয়ের বিদ্রোহী বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা এবং অন্যজন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেত্রী বন্দনা রাই। বিষ্ণুপ্রসাদ আবার কাকতালীয়ভাবে প্রতীক পেয়েছেন ‘সেফটিপিন’ এবং বন্দনা রাই ‘ডোর বেল’। ফলে সোমবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পার হওয়ার পর দেখা গিয়েছে ওই দুই প্রার্থী-সহ এবার দার্জিলিং লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন ১৪ জন।

প্রতীক পাওয়ার পর নির্দল প্রার্থী বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা তোপ দাগেন দার্জিলিং আসনের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তাকে। মঙ্গলবার ঝাঁজাল ভাষায় তিনি বলেন, “এবার সেফটিপিন দিয়ে বিজেপির ফানুস চুপসে ছাড়ব। রাজু বিস্তার দুর্নীতি হবে আমার প্রচারের মূল বিষয়।” অন্যদিকে, আরেক নির্দল প্রার্থী বন্দনা রাই বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, “গোর্খাল্যান্ডের নাম করে ভোট নিয়ে হাত ধুয়ে ফেলা এবার আর হবে না। সেটা ডোর বেল বাজিয়ে সবাইকে বলব।” এই দুই প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে এত ঘনিষ্ঠ হয়েও কেন গুরুং কোনও ব্যবস্থা নিলেন না? তিনি পারতেন দুই প্রার্থীকে থামাতে। কারণ, বিষ্ণুপ্রসাদ মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে সিংমারীতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সদর দপ্তরে গিয়ে গুরুংয়ের সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন। অন্যদিকে বন্দনা গুরুংয়ের দলেরই বিদ্রোহী নেত্রী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রথমদফার ভোটের গাইডলাইন নাপসন্দ, নয়া রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের]

তবে কি গুরুং দুই নির্দলকে উপেক্ষা করছেন? নাকি এখনও বিজেপির উপরে হালকা চাপ রেখে দিলেন? গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতৃত্ব অবশ্য এই দুই প্রার্থীকে নিয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি। এদিকে বিজেপি নেতৃত্ব আমল দিতে নারাজ নির্দলদের। পদ্ম শিবির মনে করছে না নির্দলরা লোকসভা নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে। তাদের দাবি, লড়াই হবে তৃণমূলের সঙ্গে। কিন্তু পাহাড়বাসী কোনওভাবেই তৃণমূলকে মেনে নিতে পারবে না।

Advertisement

পাহাড় বিজেপির সভাপতি কল্যাণ দেওয়ান যেমন জানিয়েছেন, “নির্দলরা লোকসভার ভোটে কখনও ফ্যাক্টর হয় না। ভোট হবে প্রতীকে। তৃণমূলের প্রতীক পাহাড়বাসী পছন্দ করে না। তাই পাহাড়ে লিড বাড়বে।” কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করলেও রাজনৈতিক মহলের মতে বিষ্ণুপ্রসাদ এবং বন্দনা রাইকে এতটা হালকা করে দেখার কিছু নেই। বিষ্ণুপ্রসাদ কার্শিয়াং বিধানসভা তো বটেই, দার্জিলিং বিধানসভা এলাকা থেকেও ভোট কাটতে পারেন। তিনি যে ভোট পাবেন সেটা বিজেপির ঘর থেকে যাবে।

অন্যদিকে, বন্দনা রাই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জনপ্রিয় নেত্রী। পাহাড়ে তিনি যে ভোট পাবেন সেটাও বিজেপির জোটসঙ্গী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার হাতছাড়া হয়ে যাবে। ফলে এই দুই কাঁটায় বিদ্ধ হয়ে বিজেপির ভোট হারানোর সম্ভাবনা বাড়ছে। এই আবহে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার পাহাড়ের ‘রাজনৈতিক গুরু’ বিমল গুরুং পরিস্থিতি কেমন করে সামলে দেন সেটাই এখন দেখার।

[আরও পড়ুন: কমিশনকে ‘গণতন্ত্রের হত্যাকারী’ তকমা দিয়ে ‘দুই হিমন্তে’র গল্প শোনালেন অভিষেক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ