সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সান্টার হাত ধরে শীত যেন ফিরল মহানগরে। সকাল থেকে মনোরম আবহাওয়া মেলায় বাঙালিকে আর পায় কে। কারও গন্তব্য চিড়িয়াখানা, কেউ দৌড়েচ্ছেন নিকো পার্ক বা নবরূপে সজ্জিত ইকো পার্কে। দিনভর ঘোরাঘুরির পর অবশ্য এই ভিড় আছড়ে পড়বে পার্ক স্ট্রিটে।
[পুরীর সৈকতে বৃহত্তম সান্তা, রেকর্ড গড়লেন সুদর্শন]
বড়দিনের সকালে কলকাতার পারদ নামে ১৪.৩ ডিগ্রিতে। তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলেও শনিবারের থেকে ঠান্ডা বাড়ায় বেশ খুশি শীতবিলাসীরা। হিমেল হাওয়া আর নরম রোদ উৎসবের মেজাজ বদল দিয়েছে আমবাঙালির। এমন মন ভাল করে পরিবেশ পেয়ে অনেকেই বেরিয়ে পড়েছেন। সেই উৎসাহের ধাক্কায় চিড়িয়াখানায় তিল ধারণের জায়গা নেই। ভিক্টোরিয়ায়ও একই অবস্থা। মিউজিয়াম ও তারামণ্ডলের সামনে লম্বা লাইনে। যারা এসব দর্শনীয় স্থানের ভিড় দেখে বিরক্ত হয়েছেন তারা চলে গিয়েছেন ময়দানে। এতো গেল কলকাতার এক প্রান্তের খবর। ইলিয়ট পার্ক, মিলেনিয়াম পার্কের পাশাপাশি নিকো পার্কেও চেনা ভিড়। এবার বেড়ানোর মানচিত্র জায়গা করে নিয়েছে ইকো পার্কও। এই বিশালাকার উদ্যানে থাকা সপ্তম আশ্চর্য কৌতূহলীদের মন ভরিয়েছে। সেখানেও রেকর্ড ভাঙা ভিড় হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কলকাতার সঙ্গে মানানসই জেলাগুলি। পর্যটক টানার দৌড়ে দিঘা যথারীতি সবার আগে। ওল্ড বা নিউ দিঘার বিচে স্নান করতেও কার্যত ঠেলাঠেলি করতে হচ্ছে। বিচ ফেস্টিভ্যাল মোহনার মাদকতা এক ধাক্কায় বাড়িয়েছে। পাশাপাশি সুদৃশ্য তাঁবু, হেলিকপ্টার, হট এয়ার বেলুন। সৈকত শহরে বিনোদনের যেন শেষ নেই। যারা দিঘার হোটেল পাননি তারা ছুটেছেন বকখালিতে। সুন্দরবন, ডায়মন্ডহারবারেও ছবিটা এক। উত্তর ২৪ পরগনার টাকি, বনগাঁতে পিকনিকের মজা নিয়েছেন অনেকে।
[‘এবারের বড়দিনে স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা দিক সান্তা ক্লজ’]
উত্তরবঙ্গের গজলডোবা, রায়গঞ্জের কুলিক, বালুরঘাটে আত্রেয়ী পারেও বসেছে বনভোজনের আসর। বিভিন্ন রঙিন পোশাক চর্তুদিক যেন রঙের মেলা। পশ্চিম বর্ধমানের মাইথন, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরে পর্যটকদের ভিড় বুঝিয়ে দিয়েছে ক্রিসমাস এসে গিয়েছে। আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে এমন আবহাওয়া বেশ কিছু দিন থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে থাকবে।