সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: কন্যাশ্রীর টাকা তুলতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার এক তরুণী। ব্যাংকে যাওয়ার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীর। শুক্রবার বিকেলে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির কাশীনগরে।
[আরও পড়ুন: পুরাতনেই ভরসা, আজও গ্রামোফোনে মহিষাসুরমর্দিনী শোনেন এই এলাকার বাসিন্দারা]
ডায়মন্ড হারবারের ফকিরচাঁদ কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী মিতা হালদার নামে ওই তরুণী। শুক্রবার বিকেলে বাড়ির কাছেই রায়দিঘির কাশীনগরের একটি ব্যাংকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা তুলতে গিয়েছিল সে। জানা গিয়েছে, এটিএম কাউন্টারে ভিড় থাকায় রাস্তার পাশেই দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিল মিতা। হঠাৎই বেপরোয়া গতির একটি লরি তাকে ধাক্কা মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে মিতা।

ঘটনার পরই লরিটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। এরপরই লরিটিতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঘাতক লরির চালককে। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে নেমেছে শোকের ছায়া। শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ছাত্রীর দেহ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বরাবর ওই এলাকা দিয়ে বেপরোয়া গতিতে যান চলাচল করে। এ বিষয়ে একাধিকবার স্থানীয়দের তরফে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা।
[আরও পড়ুন: অবশেষে রেলের ফিট সার্টিফিকেট, জট কাটিয়ে বর্ধমান রেল সেতুতে শুরু যান চলাচল]
দুর্ঘটনা রুখতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। মানুষকে সচেতন করতে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভের মতো প্রকল্প চালু করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের স্বার্থে সচেতনতা শিবিরও করা হচ্ছে। কিন্তু তা সত্বেও একের পর ঘটেই চলেছে দুর্ঘটনা। তবে কি ফাঁক থেকে যাচ্ছে প্রচারে? নাকি মানুষই সচেতন হচ্ছেন না? উঠছে প্রশ্ন।