রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ‘সৈকতে তিনদিন, আনন্দ অন্তহীন’৷ পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে এই বার্তা নিয়েই দিঘায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বাংলার সৈকত উৎসব ২০১৯। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে উৎসব৷ সৈকত উৎসবে থাকবে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও৷ এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সাজো সাজো রব সৈকত শহরে৷
১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর ও শংকরপুরে আয়োজিত হতে চলেছে বাংলার সৈকত উৎসব। কী কী হবে সৈকত উৎসবে? আয়োজকদের সূত্রে খবর, মন্দারমণি সৈকতে থাকবে বিচ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা। তাজপুর এবং মন্দারমণি সমুদ্র সৈকতে আয়োজিত হবে বিচ ভলিবল প্রতিযোগিতা। এছাড়াও থাকবে বিচ ক্যুইজ এবং রোড সেফটি ক্যুইজ। গত বছরের সৈকত উৎসবে বিশেষভাবে নজর কেড়েছিল শাঁখ বাজানো প্রতিযোগিতা। এবার শাঁখের পরিবর্তে থাকবে ঢাক বাজানো প্রতিযোগিতা৷ বাংলার উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ ঢাক৷ উৎসবকে অন্য মাত্রা দিতে আয়োজিত হবে ঢাক প্রতিযোগিতা। জেলা ও জেলার বাইরে অগণিত ঢাকি আসবেন এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। সৈকতে ঢাক বাজানো দেখতে আপনাকে আসতেই হবে এই বিচ ফেস্টিভ্যালে।
[সোনাজঙ্ঘার টানে শীতের রাতে জঙ্গল ভ্রমণ, ডাকছে বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্য]
সেই সঙ্গে থাকছে থিম সং প্রতিযোগিতা। ফেস্টিভ্যালের জন্য থিম সং বানিয়ে রেকর্ডিং করতে হবে৷ এরপর তা পাঠিয়ে দিতে হবে দিঘা-শংকরপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কাছে৷ সেরা গান তিনটিকে পুরস্কৃত করা হবে। সেরা গানটি এই উৎসবের থিম সং হিসাবেও নির্বাচিত হবে। এছাড়াও প্রতি সন্ধ্যায় থাকছে আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। হবে সি ফুড ফেস্টিভ্যালও। ওয়াটার স্পোর্টসের পাশাপাশি থাকবে সেলফি পয়েন্ট। হেলিকাপ্টারে জয় রাইডের বন্দোবস্তও করা হয়েছে। সমুদ্রের পাশাপাশি আরও দ্বিগুণ আনন্দ লুটেপুটে উপভোগের জন্য বিচ ফেস্টিভ্যালে দিঘায় আপনাকে যেতেই হবে৷ মিস করবেন না কিন্তু!