Advertisement
Advertisement
করোনা

লকডাউনে ঝাঁপ বন্ধ সেলুনের, গরম থেকে বাঁচতে বাড়িতেই নেড়া হওয়ার ধুম ছোট-বড় সকলের

পরিবারের সদস্যরাই কাটছেন একে অপরের চুল!

Some people of Howrah cuts hair during lockdown
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:April 13, 2020 12:34 pm
  • Updated:April 13, 2020 12:34 pm

মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: লকডাউনে বন্ধ হাট-বাজার, দোকান, স্কুল-কলেজ এমনকী সেলুনও। কিন্তু চুল তো আর লকডাউন বোঝে না! তাই চুল বেড়ে চললেও উপায় নেই তা কাটার। অগত্যা গরম থেকে নিস্কৃতি পেতে নেড়া হওয়ার পথই বেছে নিচ্ছেন হাওড়ার অধিকাংশ মানুষ।

হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় হু হু করে বাড়ছে নেড়াদের দল। রীতিমতো নেড়া হওয়ার হিড়িক পড়েছে এলাকায়। কচিকাঁচারা যেমন রয়েছে তেমনি সেই দলে রয়েছেন যুবক এমনকী প্রৌঢ়রাও। বাড়িতে বসেই একে অপরকে নেড়া করে দিচ্ছেন। এপ্রসঙ্গে বাগনানের এক যুবক বলেন, “চুল বেড়েই চলেছে। কাটার উপায় নেই। কী করব আর, শেষে জনা পাঁচেক বন্ধু আলোচনা করে ঠিক করলাম যে নেড়া হব। এখন দেখছি একে একে সবাই……..।” এক কলেজে পড়ুয়া বলেন, “চুল উঠে যাচ্ছিল। সবাই পরামর্শ দেন নেড়া হওয়ার। কিন্তু কলেজে, হাটে বাজারে যেতে হয়। অস্বস্তি লাগবে বলে হতে পারছিলাম না। এখন করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে ঘরবন্দি সবাই। তাই নেড়া হয়েই গেলাম।”

Advertisement

howrahh-2

Advertisement

[আরও পড়ুন: মোদির আহ্বানে আলো নিভিয়ে বিতর্ক, বেলপাহাড়ির স্বাস্থ্য আধিকারিককে শোকজ]

উলুবেড়িয়া আদালতের আইনজীবী শেখ হাসানুর আলমও নেড়া হয়ে গিয়েছেন। সঙ্গে ছেলেকেও করেছেন। তিনি বলেন, “কী আর করব লক ডাউনের জেরে এলাকার সেলুন বন্ধ। নাপিতদেরও ডাকলে তারা সহজে আসতে চাইছে না। তাই নিজেরাই নেড়া হয়ে গেলাম। আমাদের পাড়ায় প্রচুর ছেলে ও বুড়োও হয়েছেন।” এক নাপিতের কথায়, পুলিশের লাঠি খাওয়ার চেয়ে ঘরে বসে ডাল-ভাত খাওয়া ঢের ভাল!

[আরও পড়ুন: গুমোট গরম থেকে স্বস্তি, বিকেলেই বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ