দেব গোস্বামী, বোলপুর: বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখলেন বিশ্বের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা। সেই তালিকায় রয়েছেন নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ জর্জ আকেরলফ। বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। পদাধিকারবলে রাষ্ট্রপতিই সেখানকার ভিজিটর। তাই তাঁকেই চিঠি লিখেছেন অন্তত ৩০২ জন অধ্যাপক, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও নামীদামী প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ‘জমি কবজাকারী’, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সর্বত্র নিন্দার শিকার হন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী৷ এমনকী ‘ভারতরত্ন’ অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’র জমি খালি করার নোটিস লাগিয়ে দিতেও দেখা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি বিভাগের আধিকারিকদের৷ এক সময় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তাপও দেখা গিয়েছিল শান্তিনিকেতনে। এবার বিদেশ থেকে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা এল।
[আরও পড়ুন: ‘মাথা কেটে ফুটবল খেলব’, পঞ্চায়েত ভোটের আবহে কাকদ্বীপে বিজেপি প্রার্থীকে হুমকি ঘিরে চাঞ্চল্য]
ভারতীয় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল মার্কিন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জর্জ আকেরলফ৷ ভারতের রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্বভারতীর পরিদর্শক দ্রৌপদী মুর্মুকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে অমর্ত্য সেনকে হেনস্তা ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অসহিষ্ণু মনোভাবের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠিতে সাক্ষর করেছেন ৩০২ জন।
তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইংল্যান্ডের অলিস্টার বিশ্ববিদ্যালয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এলবামা বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর-সহ ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট অফ ভুবনেশ্বর, দিল্লি জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়-সহ সরব শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশের বিদ্বজ্জনেরা।