Advertisement
Advertisement

Breaking News

সুভাষগ্রামে জোড়া খুন

সুভাষগ্রামে জোড়া খুনের কিনারা, শারীরিক সম্পর্কে অনীহায় স্ত্রীকে হত্যা, জেরায় স্বীকার ধৃতের

অভিযুক্তকে হাওড়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Son-in-law arrested in Subhashgram's double murder case

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 31, 2020 1:57 pm
  • Updated:July 31, 2020 2:21 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোনারপুরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষগ্রামের সুকান্ত সরণিতে স্ত্রী এবং শ্বশুরকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। ঘটনার ১৯ দিনের মাথায় অভিযুক্ত জামাই রমেশ পণ্ডিতকে হাওড়া থেকে গ্রেপ্তার করে সোনারপুর থানার পুলিশ। খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে সে। খুনের কারণও জানিয়েছে তদন্তকারীদের।

অভিযুক্ত জেরায় জানায়, স্ত্রী অতিরিক্ত বিড়াল ভালবাসতেন। আর তা অপছন্দ ছিল তার। কারণ, স্ত্রীর পোষ্য বিড়াল মাঝেমধ্যেই সন্তানকে আঁচড়ে দিচ্ছিল। তার ফলে বিড়ালগুলিকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথাই বলত সে। তবে তা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে অহরহ ঝগড়া হত। ক্রমশ দাম্পত্য সম্পর্কও উষ্ণতা হারাচ্ছিল। ইদানীং শারীরিক সম্পর্কেও কিছুতেই রাজি করানো যেত না স্ত্রীকে। দিন দিন সম্পর্কের অবনতির কারণেই স্ত্রীকে খুনের সিদ্ধান্ত বলেই জানায় অভিযুক্ত। কিন্তু শ্বশুরকে কেন খুন করার সিদ্ধান্ত নিল অভিযুক্ত জামাই? তার দাবি, সম্পত্তির লোভেই এ কাজ করেছে সে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নিহত দলীয় কর্মীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতে ‘বাধা’, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সায়ন্তন]

উল্লেখ্য, বছর পঁচাত্তরের বাসুদেববাবু শিশু সাহিত্য সংসদে কাজ করতেন। নিজে বিয়ে করেননি। সুনীতাকে পালন করেন। ৫ বছর আগে রমেশ পণ্ডিতের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দেন। সাড়ে ৩ বছরের একটি শিশুকন্যাও রয়েছে। ইদানীং রমেশ এবং তার মা, সুনীতার বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিল। বেশ কয়েকদিন আগে এক প্রতিবেশী বাসুদেববাবুর বাড়িতে ফুল তুলতে যান। তিনিই দেখেন ঘরের দরজা খোলা। ঘরের মেঝেতে এবং বিছানায় পড়ে রয়েছে সুনীতা এবং তাঁর বাবার রক্তাক্ত দেহ। সুনীতাকে ঘরের মেঝেতে মদের ভাঙা বোতল দিয়ে গলায় আঘাতও করা হয়। দেহে মিলেছে গভীর ক্ষতচিহ্ন। আর তাঁর পালিত বাবাকে পাওয়া গিয়েছে বিছানায়। একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে তাঁর শরীরেও। এমনকী ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাসুদেববাবুর যৌনাঙ্গও কাটা হয়।

Advertisement

ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরে সোনারপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে। খুনি রক্তমাখা জামাকাপড় বাথরুমে ছেড়ে রেখে পালিয়ে যায়। মৃত সুনীতার সন্তান-সহ অনেকের বয়ান নেয় পুলিশ। তার ভিত্তিতে মোটামুটি তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয় এই কাণ্ড ঘটিয়েছে রমেশই। অবশেষে ১৯ দিন পর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।

[আরও পড়ুন: রাজ্যের সব বুথে কমিটিই হয়নি, বাংলা দখল নিয়ে চিন্তায় বিজেপি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ